• বাচ্চা সামলানোর কাজে এসে চুরি, ক্যানিং থেকে ধৃত মহিলা
    এই সময় | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • এই সময়, ক্যানিং: গল্ফগ্রিনের এক বাড়িতে বাচ্চা দেখাশোনার কাজ করত মহিলা। কিন্তু কোনও কারণ ছাড়াই সে কাজ ছেড়ে দেয়। এর পরেই বাড়ির লোক দেখেন কিছু সোনার গয়না বাড়ি থেকে উধাও। তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ গিয়ে ক্যানিংয়ের ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়িতে হানা দিয়ে ডোবার পাড়ে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে রাখা সোনার গয়না উদ্ধার করে গল্ফগ্রিন থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত মহিলার নাম জবা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বাড়ি ক্যানিং থানার কুমারশা গ্রামে।

    ওই গ্রামে মা সীমা দাসের সঙ্গে থাকত বিবাহ বিচ্ছিন্না জবা। মাস দেড়েক আগে গল্ফগ্রিন এলাকায় এক বাড়িতে শিশুকে দেখভাল করার কাজে যোগ দিয়েছিল ওই তরুণী। আচমকা ১৩ ডিসেম্বর বাড়িতে কাজ আছে বলে জবা কাজ ছেড়ে দেয়।

    বাড়ির লোকজন ১৮ ডিসেম্বর দেখতে পান বাড়ি থেকে চুরি গিয়েছে সোনার দু’টি আংটি ও হিরের কানের দুল। জবার হঠাৎ কাজ ছেড়ে দেওয়া নিয়ে বাড়ির লোকের সন্দেহ হলে তাঁরা গল্ফগ্রিন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    তদন্তে নেমে পুলিশ ক্যানিংয়ে গিয়ে জবাকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু পুলিশের কাছে সে কোনও ভাবেই চুরির কথা স্বীকার করতে চাইছিল না। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, কাজ ছাড়ার পর জবা বেশ কিছু আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছে। পুলিশ সেখানেও হানা দেয়।

    ওই আত্মীয়দের থেকে পুলিশ জানতে পারে জবা গয়না পরে তাঁদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। এর পর বুধবার রাতে পুলিশের জেরায় জবা চুরির কথা স্বীকার করে। রাতেই তাকে ক্যানিংয়ের বাড়িতে আনা হয়। সেখানে সন্ধ্যা মণ্ডল নামে এক প্রতিবেশীর কাছে গয়না আছে বলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে জবা। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে সন্ধ্যার।

    এর পর পুলিশের ধমক খেয়ে জবা তার মাকে গয়নাগুলি ঝোপের কাছে লুকিয়ে রাখা আছে বলে জানায়। পুলিশ জবাকে নিয়ে কলকাতায় ফেরে। জবার মা বলেন, ‘মেয়ে আয়া সেন্টারে কাজ নিয়েছিল। সেখান থেকে ওই কাজ পায়। কিন্তু মেয়ে যে চুরি করবে, তা ভাবতে পারিনি।’

  • Link to this news (এই সময়)