• জেলা সদর চুঁচুড়ার ত্রাস "ভোলা", লাঠি হাতে পাহারায় ব্যবসায়ীরা...
    আজকাল | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • মিল্টন সেন,হুগলি: ভোলার তাণ্ডবে সন্ত্রস্ত চুঁচুড়া। হটাৎ একি আচরণ? লোক দেখলেই সিং উঁচিয়ে তাড়া করছে। সম্প্রতি ভোলার পরিবর্তিত এই আচরণে আতঙ্কিত গোটা চুঁচুড়ার মল্লিক কাশেম হাট চত্ত্বর। গুতোর ভয়ে আতঙ্কিত ব্যবসায়ী থেকে বাসিন্দারা সকলেই। ইতিমধ্যেই ভোলায় গুঁতোয় আহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

     প্রাণীসম্পদ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, পায়ে আঘাত পাওয়ার পর থেকে আহত ভোলার আচরণে পরিবর্তন ঘটেছে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এলাকাবাসীরা একসময় ভালোবেসে তার নাম রেখেছিল ভোলা। প্রথম থেকেই তার চলাফেরা ছিল রাজার মতন। তার কাছে দিয়ে যায় কার ক্ষমতা। রোজ সকাল হলেই গুটি গুটি পায়ে বাজারে ক্রেতা বিক্রেতা আসার আগেই হাজির হয়ে যেত সে।

     

    নাম ভোলা হলেও তার স্বভাব মোটেই ভোলাভালা ছিলনা। কয়েক দিন ধরেই আবার তার মেজাজ বিগড়েছে। নধর চেহারার ষাঁড় ভোলা, বর্তমানে যাকে তাকে তাড়া করছে। ভোলার মাথায় ধারালো দুটো লম্বা শিং নিয়ে আচমকাই গুঁতোতে আসছে। চুঁচুড়া মল্লিক কাশেম হাটের ক্রেতা বিক্রেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এখন তার আতঙ্কে আতঙ্কিত। ইতিমধ্যেই ভোলার গুতো খেয়ে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

     

    পরিস্থিতি এমন হয়েছে, একপ্রকার প্রাণ হাতে নিয়েই কোনওরকমে বাজারে বিকিকিনি সারছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, যখন তখন ভোলা আক্রমণ করছে। ভয়ে ভয়ে দোকানদারি করতে হচ্ছে। হুগলি জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ নির্মাল্য চক্রবর্তী বলেছেন, তিনি বিষয়টা জানতে পেরে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের অধিকর্তাকে জানিয়েছেন। ষাঢ়টির পায়ে গভীর ক্ষত আছে। তাই হয়ত ওরকম করছে। বিষয়টা পশু চিকিৎসককে জানান হয়েছে। ওর চিকিৎসার প্রয়োজন। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
  • Link to this news (আজকাল)