• নেই চিকিৎসক, কম্পাউন্ডারই রোগী দেখেন সাহেবখালি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ...
    আজকাল | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  •  

    আজকাল ওয়েবডেস্ক: আছে ঝাঁ চকচকে হাসপাতাল ভবন। আছে রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় শয্যা, জল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থাও। গ্রামের গরিব মানুষের চিকিৎসার প্রধান ভরসা চিকিৎসকই কেবল নেই। পরিবর্তে হাসপাতালের কম্পাউন্ডার রোগী দেখেন। তিনি ওষুধ-পথ্য লিখে দেন। তাঁর ভরসাতেই সাহেবখালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র টিমটিম করে চলছে। এই পরিস্থিতিতে, ওই গ্রামের বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন চিকিৎসকের দাবিতে। 

    তাঁদের অভিযোগ, আয়লা ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসা ব্যবস্থা ক্রমশ বিলীন হতে থাকে, অথচ সেটাই ছিল একমাত্র ভরসা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ২০২০ সালের পর থেকে হাসপাতালে আর কোনও স্থায়ী চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়নি। পার্শ্ববর্তী হাসপাতাল থেকে একজন চিকিৎসক সপ্তাহে একদিন করে যান। কয়েক ঘন্টা রোগী দেখার পরেই তিনি আবার শহরে ফিরে যান। জরুরি প্রয়োজনে গ্রামের মানুষ হাসপাতালে গিয়ে আর চিকিৎসকের দেখা পান না। হাসপাতালে একজন ফার্মাসিস্ট রয়েছেন। তিনিই রোগী দেখেন। তিনি ওষুধ লিখে দেন। ওই ফার্মাসিস্টের ওপরেই কয়েক হাজার মানুষের চিকিৎসা নির্ভর করে রয়েছে‌। 

    স্থানীয় বাসিন্দা নিরাপদ মণ্ডল ও মিহিরকান্তি মণ্ডল-সহ অন্যরা বলেন, 'প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের আমলে সাহেবখালি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি গড়ে উঠেছিল। এক সময় এই হাসপাতালই ছিল স্থানীয় মানুষের চিকিৎসার প্রধান ভরসা। গত কয়েক বছর ধরে সেই হাসপাতালে কোনও চিকিৎসক নেই। একজন কম্পাউন্ডারই রোগী দেখছেন। তিনিই ওষুধ লিখে দিচ্ছেন।'

    স্থানীয় বাসিন্দা অনিতা বিশ্বাস বলেন, 'নামেই সাহেবখালি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। আমরা চাই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকার এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।'

    বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. শ্যামলকুমার বিশ্বাস বলেন, 'সাহেবখালি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসকের সমস্যা রয়েছে। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন। তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই হাসপাতাল স্থায়ী চিকিৎসক দেওয়ার চেষ্টা করছি। অন্য সমস্যাগুলিও দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা চলছে।'
  • Link to this news (আজকাল)