নাগাল মিলছে না জিনাতের, পুরুলিয়ার মানুষ শিউরে উঠছেন ২০১৫-এর কথা মনে করে ...
আজকাল | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
অরিন্দম মুখার্জি: বান্দোয়ানের রাইখা পাহাড়ের জঙ্গলে বাঘিনী জিনাত-এর অবস্থান নিয়ে গত কয়েকদিনে তীব্র আশঙ্কা ছিল। গত রবিবার থেকেই আশঙ্কা ছিল, কোনওভাবে পাহাড় জঙ্গল পেরিয়ে লোকালয়ে চলে না আসে। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাইকা পাহাড়ের ভরারির জঙ্গল ছেড়ে পুরুলিয়ার মানবাজার দু'নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ডাঙারডি জঙ্গলে বাঘিনী প্রবেশ করেছে।
জিনাতের গলায় যে রেডিও কলার লাগানো আছে তার সূত্র ধরেই বনদপ্তর ডাঙারডির জঙ্গলে এবং সেই এলাকায় বাঘিনীর পদচিহ্ন পেয়েছে। বৃহস্পতিবার সারারাত ধরে বিভিন্ন উপায়ে বাঘিনীকে কব্জায় আনার চেষ্টা করছিল। কিন্তু জিনাত বনদপ্তরের কর্মীদের হাতে খাঁচায় বন্দী হওয়ার আগেই সবার চোখে ধুলো দিয়ে লোকালয়ে চলে আসে।
বনদপ্তর ভেবেছিল কোনওভাবে যদি খাঁচাবন্দি না করতেও পারে, হয়তো বাংলা ছাড়া করবে, কিন্তু বৃহস্পতিবার সারারাত জুড়ে বনদপ্তর পরিকল্পনা করেছিল বাঘিনীকে জালবন্দি করার কিন্তু সেই পরিকল্পনাও কার্যত ব্যর্থ করে দেয় সে। বর্তমানে তার অবস্থান মানবাজার ২ নম্বর ব্লকের ডাঙার ডি মোড়ের জঙ্গলে। মানবাজারের ব্লকের এই জঙ্গল ততটা গভীর নয় কিন্তু জঙ্গলের খুব কাছেই লোকালয়, সেই কারণে যে কারও উপরে জিনাত ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে সেই আতঙ্কে মানবাজার ব্লকের সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ভুগছে।
জিনাতের চলাফেরা দেখে চিন্তা বাড়ছে। সে কিন্তু ঘুরে পিছনদিকে যাওয়ার বদলে এগিয়ে আসছে। সেই কারণে জিনাত রাইখার জঙ্গল থেকে সামনের দিকে মানবাজার ব্লকের জঙ্গলে চলে আসে। জিনাতের এই ঘুরে বেড়ানো আতঙ্ক জাগাচ্ছে প্রবলভাবে। মনে পড়ছে সাত বছর আগের ঘটনা। সালটা ২০১৫। পুরুলিয়ার কোটশিলা বনাঞ্চলে একটি চিতাবাঘ লোকালয়ে চলে এসে বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়েছিল, নিজেদের বাঁচাতে সাধারণ মানুষ চিতাবাঘকে লাঠি এবং বিভিন্ন ধরনের ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে তাড়া করে, পিটিয়ে মেরে দেয় এবং পরে তাকে গাছে ঝুলিয়ে দেয়।