সংবাদদাতা, হলদিয়া: হলদিয়ার ক্ষুদিরামনগরে ছুরির আঘাতে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী গুরুতর জখম হওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ দিনে এধরনের তিনটি ঘটনা ঘটেছে। প্রথম দু’টি ঘটনায় দু’জন বিবাহিত মহিলা জখম হয়েছেন। তবে তাঁদের আঘাত তেমন গুরুতর না হওয়ায় হইচই হয়নি। স্থানীয় ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা হয়েছে তাঁদের। ভয়ে কেউ পুলিসে অভিযোগ করেননি। ওই ছাত্রী জখম হওয়ার পরই একাধিক মহিলা আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। তবে তাঁরা কেউ মুখ খুলতে চাননি।
বৃহস্পতিবার টিউশনি পড়ে ফেরার সময় ছুরির আঘাতে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী জখম হয়। ওই পড়ুয়ার বাড়ি ক্ষুদিরামনগরে। রেল কারখানার পাশের নির্জন রাস্তায় বাড়ি ফেরার সময় ওই পড়ুয়াকে ছুরি মারে অজ্ঞাত পরিচয় এক বাইক আরোহী। ওই ছাত্রী কয়েকশো মিটার হেঁটে এসে একটি চা দোকানের সামনে আর্তনাদ করে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। লোকজন আসার আগেই অবশ্য বাইক চালক পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা ছাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বিসি রায় হাসপাতালে পাঠায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর শরীরের ডান দিকে পেটে গভীর ক্ষত হয়েছে। শীতের পোশাক থাকায় সে বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছে। শুক্রবার সকালেই ছাত্রীর একটি অপারেশন হয়েছে। ছাত্রীর বাবা পেশায় টোটো চালক। হলদিয়ার এসডিপিও অরিন্দম অধিকারী বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন সন্ধ্যায় হলদিয়া থানায় ছাত্রী সহ একাধিক ছুরি মারার ঘটনা নিয়ে অভিযোগ করেছেন। এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলার শ্রাবন্তী শাসমল বলেন, ক্ষুদিরামনগর থেকে রেল কারখানার পাশের নির্জন রাস্তায় যাতায়াতের সময় প্রায়ই আক্রান্ত হচ্ছেন মহিলার। দুষ্কৃতীরা মোবাইল ছিনিয়ে পালিয়ে যায়। ইদানীং ছুরি মারার ঘটনা শুরু হয়েছে। ওই এলাকায় স্ট্রিট লাইটের আলো না থাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর দাবি জানিয়েছেন।