• দীর্ঘদিনের দাবি মেনে খানাকুলের গড়ে উঠতে চলেছে দমকল কেন্দ্র
    বর্তমান | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে খানাকুলবাসীর। এবার খানাকুলেই গড়ে উঠবে দমকল কেন্দ্র। এই ব্যাপারে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকেই দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। অবশেষে তার অনুমোদন মিলতে চলেছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। হুগলি জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, খানাকুলে দমকল কেন্দ্র গড়তে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া চলছে। 


    খানাকুল-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মিন্টু পাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খানাকুলের উন্নয়নে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। খানাকুলে দমকল কেন্দ্র হতে চলেছে। খানাকুল-১ বিডিও অফিস সংলগ্ন জমিতেই ওই দমকল কেন্দ্র হবে বলে শুনেছি। ওই দমকল কেন্দ্র হলে আর আরামবাগের উপর নির্ভরশীল হতে হবে না। 


    উল্লেখ্য, আরামবাগে একটি দমকল কেন্দ্র রয়েছে। সেখান থেকে দমকলকর্মীরা আরামবাগ গোঘাট, পুরশুড়া ও খানাকুল থানা এলাকায় পরিষেবা দেন। দূরত্বের নিরিখে আরামবাগ থেকে খানাকুলে গিয়ে পরিষেবা দেওয়া কার্যত চ্যালেঞ্জের। নদী ও খাল দিয়ে ঘেরা খানাকুল। এখনও অনেক জায়গায় নৌকায় চেপে বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হয়। অনেক জায়গায় আবার বাঁশ, কাঠের সেতুই ভরসা। ফলে সেইসব জায়গায় কোনও ঘটনা ঘটলে দমকল কর্মীদের সমস্যায় পড়তে হয়। 


    আরামবাগ থেকে রাজহাটি পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার রাস্তা। বাজারটি যথেষ্ট ঘিঞ্জিও। ফলে সেখানে সময়মতো পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ করাও সমস্যার। ব্যবসায়ীদের দাবি, আরামবাগ থেকে দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছাতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। ততক্ষণে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় সবকিছু। মাস কয়েক আগে একটি কাপড়ের দোকানে আগুন লাগলে স্থানীয়রাই আগুন নেভান। 


    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে প্রশাসন খানাকুলে দমকল কেন্দ্র গড়ার প্রস্তাব পাঠায়। সেইমতো রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা জমি পরিদর্শন করেন। আরামবাগ দমকল কেন্দ্রের এক আধিকারিক বলেন, খানাকুলে দমকল কেন্দ্র গড়ার প্রস্তাব রয়েছে। ওখানে দমকল কেন্দ্র হলে আরামবাগ কেন্দ্রের উপর চাপ অনেকটাই কমবে। আশা করছি দ্রুত তার অনুমোদন মিলবে। 


    রাজহাটির একটি জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির উদ্যোক্তা অমিত আঢ্য বলেন, জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় এখানে একটি ইঞ্জিন থাকে। তবে ২৪ ঘণ্টার জন্য এখানে দমকল পরিষেবা প্রয়োজন। রাজহাটি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুধাংশু শেখর কুণ্ডু বলেন, এখানে প্রায় ৮০০ দোকান রয়েছে। কোনও দোকানে আগুন লাগলে আরামবাগ থেকে আসতে অনেক সময় লাগে। সেজন্য খানাকুলে দমকল কেন্দ্র গড়ার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই করা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)