• এমএলএ হস্টেলের সুপারকে পুলিসের তলব, ডাকা হবে বিজেপি বিধায়ককেও
    বর্তমান | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঁড়িয়ে ‘তোলাবাজি’ মামলায় জেরা করার জন্য শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিস কিড স্ট্রিটে এমএলএ হস্টেলের সুপার সুশান্ত মণ্ডলকে তলব করল। হস্টেল সুপারকে এই ব্যাপারে ইতিমধ্যে নোটিসও পাঠানো হয়েছে। পুলিস সূত্রের খবর, তদন্তকারী অফিসার এমএলএ হস্টেলের রেজিস্টার খাতাটি বাজেয়াপ্ত করেছেন। জেরা পর্বে পুলিস এমএলএ হস্টেলের সুপারের কাছে জানতে চাইবে, তোলাবাজি কণ্ডে মূল অভিযুক্ত হুগলির বাসিন্দা জুনেদুল হক চৌধুরী কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি এমএলএ নিখিলরঞ্জন দে’র কোটায় রুম বুক করলেন কীভাবে? আরও জানতে চাওয়া হবে, বুকিংয়ের নেপথ্যে বিজেপি বিধায়কের ঠিক কী ধরনের ভূমিকা ছিল? 


    জেরার পাশাপাশি, বুকিংয়ে ব্যবহৃত বিজেপি বিধায়কের সুপারিশপত্রসহ অন্যান্য নথিও বাজেয়াপ্ত করতে চাইছে কলকাতা পুলিস। কেননা, প্রমাণ্য নথি হিসেবে এই মামলায় সেগুলির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূত্রের খবর, এমএলএ হস্টেলের সুপারের বক্তব্য জানার পরই এই মামলায় জেরার জন্য নিখিলরঞ্জনকেও তলব করা হবে। মোবাইলে এই বিষয়ে ওই তাঁর প্রতিক্রিয়া হল, ‘পুলিস ডাকলে অবশ্যই যাব এবং তদন্তে সহযোগিতা করব। বিধায়ক হিসেবে এ আমার কর্তব্য।’


    প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুলিস জেনেছে, নিখিলরঞ্জন দে’র কোটায় এমএলএ হস্টেলের রুম বুক করা হয়েছিল শেখ মহম্মদ ইমরাজের নামে। স্বাভাবতই পুলিস হন্যে হয়েই তাঁর খোঁজ করছে। তবে কে এই ইমরাজ? তাঁর সঙ্গে নিখিলরঞ্জনের কী সম্পর্ক? 


    লালবাজার সূত্রের খবর, তৃণমল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে ‘তোলা’ চাওয়ার অভিযোগে ধৃত জুনেদুলের মোবাইল ঘেঁটে ইমরাজের আধার কার্ডের ছবি পর্যন্ত পেয়েছে পুলিস। তবে সেটি আসল কি না তা যাচাই করা হচ্ছে। জুনেদুল এবং অন্য অভিযুক্তদের মোবাইলের ‘কল ডিটেইলস রিপোর্ট’ বিশ্লেষণ করছে পুলিস। জুনেদুলের সঙ্গে আর কার কার যোগাযোগ রয়েছে তা জানতে চায় তারা। 
  • Link to this news (বর্তমান)