এই সময়: পশ্চিমবঙ্গ হাউজ়িং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (হিডকো)-এর দায়িত্বে থাকছেন না ফিরহাদ হাকিম? বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে এই সম্ভাবনাই জোরালো হয়েছে। এতদিন হিডকো ছিল রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের অধীনে, যে দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ। পদাধিকার বলে তিনিই ছিলেন হিডকোর চেয়ারম্যান।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঠিক হয়েছে, পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর থেকে সরিয়ে হিডকোকে আনা হচ্ছে প্রশাসনিক কর্মিবর্গ দপ্তরের অধীনে। সেই দপ্তরের দায়িত্বে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। ফলে পদাধিকার বলে হিডকো তাঁরই দপ্তরের অধীনে আসার কথা।
শুক্রবার পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি। তবে প্রশাসনিক সূত্রে জল্পনা, হিডকোর ভাইস চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকেও আগামী দিনে হিডকোর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে অনেকগুলি দপ্তরের দায়িত্ব রয়েছে।
ফলে প্রশাসনিক সুবিধার জন্য দ্বিবেদীকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কিছুদিন আগে রাজ্যের ষষ্ঠ অর্থ কমিশনেরও দায়িত্ব দ্বিবেদীকে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির দায়িত্বে রয়েছে এই হিডকোই। দীর্ঘদিন ধরেই হিডকো ছিল পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের অধীনে।
তবে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে হিডকোকে আবাসন দপ্তরের অধীনে নিয়ে আসা হয়। সেই সময়ে ফিরহাদ ছিলেন আবাসনমন্ত্রী। পরবর্তী সময়ে আবার ফিরহাদ পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরে ফেরার পরে হিডকোকে ফিরিয়ে আনা হয় ওই দপ্তরের অধীনে। এ বার কেন হিডকোকে প্রশাসনিক কর্মিবর্গ দপ্তরের অধীনে আনা হলো, তার ব্যাখ্যা অবশ্য প্রশাসনিক সূত্রে মেলেনি।