বাড়িতেই রমরমিয়ে চলছিল বেআইনি বাজি কারখানা। শনিবার সেখানেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন ৩ জন। এ দিন দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার চম্পাহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়াল গ্রামের সর্দারপাড়ায়। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন পিন্টু মণ্ডল, শুভঙ্করী সর্দার ও ভক্তি সর্দার। আইনকে বুড়ে আঙুল দেখিয়ে পিন্টু মণ্ডলের বাড়ির মধ্যেই বাজি তৈরি করা হতো বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বারুইপুর থানার পুলিশ। কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটল? বাড়িতে কি সত্যিই বাজি কারখানা ছিল? এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, শনিবার দুপুরে পিন্টুর বাড়ি থেকে জোরালো আওয়চাজ শোনা যায়। আগুন ধরে যায় তাঁর বাড়িতে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় বাড়ির দেওয়াল ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। স্থানীয়রাই এই পরিস্থিতিতে আহত ৩ জনকে উদ্ধার করেন। তাঁদের কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। গ্রামবাসীর প্রাথমিক অনুমান, বাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লেগেছিল। এরপর বাড়িতে মজুত বাজিগুলিতে আগুন লেগে যাওয়ায় বিপত্তি বাড়ে।
এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কী ভাবে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে এগরাতে এই ধরনের একটি বাজি কারখানাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেই বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়েছিলেন কারখানার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু। পরে ওডিশায় তাঁর মৃত্যুও হয়। এরপরেই রাজ্যে বেআইনিভাবে গজিয়ে ওঠা বাজি কারখানাগুলিকে সমূলে নষ্ট করতে পদক্ষেপ করেছিল প্রশাসন। কিন্তু এই ঘটনা ফের একবার প্রশাসনিক নজরদারির উপর প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।