মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের তিন সদস্য ধরা পড়েছে এসটিএফের জালে। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলি বলে এসটিএফ সূত্রে খবর। বাড়ছে অনুপ্রবেশের সংখ্যাও। এই আবহে নজরদারি বাড়াতে সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে বসানো হচ্ছে সিসিটিভি। ২৪x৭ নজরদারি রাখার ব্যবস্থা থাকছে।
ভারত বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্তে ছয়ঘড়িয়া পঞ্চায়েতের তরফে ১০টি গ্রাম ও ২৩টি বুথ এলাকার যশোর রোড-সহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সংযোগস্থলগুলিতে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা। পঞ্চায়েতের তরফ থেকে প্রায় ছয় লক্ষ টাকা ব্যয় করে ৫০টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পেট্রাপোল সীমান্ত লাগোয়া ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের জয়ন্তীপুর বাজার, জামতলা, হরিদাসপুর, ছয়ঘরিয়া-সহ একাধিক এলাকায় এই ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ ঘোষ জানান, বাংলাদেশের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আনাগোনা বাড়ছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থেও এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপাতত ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে। আগামী দিনে প্রয়োজন অনুসারে ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। পঞ্চায়েতের উদ্যোগে খুশি এলাকার বাসিন্দারাও।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ক্যামেরার ফুটেজে নজর রাখা হবে স্থানীয় পঞ্চায়েত, পেট্রাপোল থানা এবং বনগাঁ জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে। পঞ্চায়েত দপ্তরের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনও নজরদারি চালাবে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আগে সন্ধ্যার পর এলাকার মানুষের যাতায়াত করতেও সমস্যা হতো। এখন বিএসএফের নজরদারি যেমন বেড়েছে, তেমনই পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। তবে পুলিশেরও আরও নজরদারি বাড়ানো দরকার।’