• তৈরি পরিকাঠামো, নতুন বছরেই এনআরএস হাসপাতালে 'বার্ন ওয়ার্ড' ...
    আজকাল | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: এবার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালেও চালু হতে চলেছে 'বার্ন ওয়ার্ড'। নতুন বছরের শুরুতেই এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি শুরু হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ইতিমধ্যেই প্রস্তুত। বাকি যে বিষয়গুলি আছে সেগুলি দ্রুত শেষ করে নতুন বছরের গোড়ার দিকেই এই ওয়ার্ড চালু হয়ে যাবে। হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা: পীতবরন চক্রবর্তী বলেন, 'আধুনিক এই ওয়ার্ডে আপাতত থাকবে ১৮টি শয্যা। এর মধ্যে ৮টি শয্যা পুরুষ এবং ১০টি মহিলাদের জন্য। হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের তত্ত্বাবধানে এই ওয়ার্ডটি কাজ করবে। আগামী বছরই শুরু হবে রোগী ভর্তি।' 

     

    কলকাতায় গুরুত্বের দিক দিয়ে সুপার স্পেশালিটি এনআরএস হাসপাতাল একেবারে প্রথম দিকেই আছে। শিয়ালদা রেল স্টেশন থেকে একেবারে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে হাসপাতালটির অবস্থানের জন্য কলকাতা এবং রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে প্রতিদিন এক বিরাট সংখ্যক রোগী এই হাসপাতালে আসেন চিকিৎসা পরিষেবার জন্য। আরও বেশি সংখ্যক রোগীকে পরিষেবা দিতে ইতিমধ্যেই তৈরি হচ্ছে হাসপাতালের নতুন ভবন। পুড়ে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসা হলেও এই হাসপাতালে আলাদা করে এতদিন কোনও বার্ন ওয়ার্ড ছিল না। 

     

    যে কারণে কিছুটা পর্যায়ে চিকিৎসার পর রোগীদের এসএসকেএম বা অন্য যে সরকারি হাসপাতালে এই ওয়ার্ড আছে সেখানে 'রেফার' করে দেওয়া হত। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এনআরএস কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে বার্ন ওয়ার্ড তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। সেইমতো প্রাথমিকভাবে একটি ১৮ শয্যার ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়। হাসপাতালের এক চিকিৎসক অধ্যাপক জানিয়েছেন, সাধারণত শীতকালেই পুড়ে যাওয়া রোগীর সংখ্যা বেশি থাকে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, শীতে লোকে ঠান্ডার থেকে বাঁচার জন্য উত্তাপের কাছাকাছি থাকে। সেজন্য প্রয়োজনে আগুন পোহানো ছাড়াও উলের তৈরি জামাকাপড় ব্যবহার করে। অসাবধানতাবশত আগুনের কাছে কাজ করতে গিয়ে বা আগুন পোহানোর সময়  অনেক সময়েই শরীরে আগুন ধরে যায়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আপাতত ১৮টি শয্যা থাকলেও আগামীদিনে শয্যার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
  • Link to this news (আজকাল)