• অভিষেকের অফিসের নামে 'প্রতারণা'য় এবার বিজেপি বিধায়ককে নোটিশ পুলিসের
    ২৪ ঘন্টা | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এমএলএ হস্টেলকাণ্ডে (MLA Hostel Controversy) নজরে বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA)! কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-কে এবার তলব করল পুলিস। ৩ দিনের মধ্যে তাঁকে আসতে বলা হল শেক্সপিয়র সরণী থানায়। 'ষড়যন্ত্র তো অবশ্য়ই', বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত  মজুমদার(BJP President Sukanta Majumder)।

    সুকান্ত বলেন,  'আমি আজকে সকালবেলায় বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনিই  FIR করবেন যে, আমি এই ধরনের কোনও রুম বুক করিনি। ষড়যন্ত্র তো অবশ্য়ই।  বিধায়ক আমাকে যেটা জানালেন, সুপারের তিনি যখন কথা বলেছেন, সুপার ওই ব্য়ক্তির ছবি দেখে বলেছেন, এই ব্যক্তিকে তো চেনা চেনা লাগছে। তার মানে যে ব্যক্তি ধরা পড়েছে, সেই ব্যক্তি বহুবার বা বহুদিন এমএলএ হস্টেলে থেকেছেন। তিনি শুধুমাত্র আমাদের বিধায়কের সই জাল করে থেকেছেন, শুধু এটাই নয়, হয়তো তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বিধায়কের সই নিয়ে এর আগেও'।

    ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। অভিযোগ, কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে একটি ফোন যায়। বলা হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অফিস থেকে ফোন করা হচ্ছে। কেন? চেয়ারম্যানের দাবি, ফোনে বলা হয়, তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। যদি ৫ লক্ষ টাকা দেন, তাহলে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এমনকী, পুরসভার চেয়ারম্যানকে ডেকে পাঠানো হয় কলকাতা কিড স্ট্রিটে এমএলএ হস্টেলেও! সন্দেহ হওয়ায়  শেক্সপিয়র সরণি থানার অভিযোগ দায়ের করেন। 

    সিসিটিভি ফুটেজ ও ফোনের সূত্র ধরে এমএলএ হস্টেল থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে দাবি, এমএলএ হস্টেলে যে ঘরে ছিলেন অভিযুক্তরা, সেই ঘরটি শেখ ইমরানের নামে রুম বুক করেছিলেন কোচবিহার দক্ষিণে বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। এরপর গতকাল, শুক্রবার রাতেই ইমেলে বিধায়ককে নোটিশ পাঠানো হয়।

    বিধায়কের অবশ্য দাবি, 'এখনও পর্যন্ত শেক্সপিয়র সরণী থানার তরফ থেকে কোনও চিঠি বা মেল পাইনি। যদি মেল বা চিঠি আসে, তদন্তের স্বার্থে অবশ্য় সহযোগিতা করব'। তিনি বলেন,  'এটা খুবই সংবেদনশীল ব্য়াপার। এমএলএ হস্টেলের ভিতরে এই ধরনের ঘটনা ঘটে গেল। সেখানে আমার নাম করে চিঠি দিয়ে, তাঁরা রুম বুক করল। আমার যেমন দরকার, বাকি বিধায়কদেরও নিরাপত্তা দরকার। এখন যাঁদের নাম বলা হচ্ছে, যাঁরা গ্রেফতার হয়েছে, তাঁদের নাম আমি জীবনে শুনিনি। চেনা তো দূরের কথা। যাঁদের নামই শুনিনি, চিনি না, তাঁদের নামে আমি রুম বুক করব! প্রশ্নই ওঠে না'।

    এমএলএ হস্টেলে বিধায়কের সুপারিশ ছাড়া সাধারণ মানুষের পক্ষে ঘর ভাড়া নেওয়া সম্ভব নয়। বিজেপি বিধায়ক জানান, 'এমএলএ হস্টেলে থাকার যে নিয়ম, আমরা কোনও পরিচিত ব্যক্তি কোনও কারণে এমএলএ হস্টেলে যায়, সেক্ষেত্রে আমাদের প্যাডে চিঠি দি। হস্টেল সুপারকে তাঁর নাম, বায়োডাটা ও ফোন নম্বর জানিয়ে চিঠি করি। সেক্ষেত্রে দিনপ্রতি ৬০ টাকায় রুম খালি থাকলে, বুকিং পাওয়া যায়'। তাঁর দাবি, 'এখানে আমি চিঠি দিইনি, কী করে আমার নামে রুম বুক হয়ে গেল, তারমানে এরমধ্যে এমএলএ হস্টেলের কেউ না কেউ যুক্ত আছে। আমরা প্য়াড, আমরা সই, জাল নাকি কী, না দেখলে বলতে পারব না। গতকাল হস্টেল সুপারকে ফোন করেছিলাম, যে চিঠির ভিত্তিতে রুম বুক করেছিলেন, সেই চিঠিটা আমাকে পাঠান।  এখনও পর্যন্ত পাইনি'।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)