নিখোঁজ হওয়ার চারদিনের মাথায় খোঁজ মিলল শিলিগুড়ির মেডিক্যাল রিপ্রেজ়েন্টেটিভ বা এমআর-এর। সুদূর মুম্বইয়ের দাদার প্ল্যাটফর্ম থেকে উদ্ধার করা হয় জয় অধিকারী নামে ওই যুবককে। দাদার স্টেশনে অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে জিআরপি। বর্তমানে মুম্বইয়ের একটি গেস্ট হাউসে রয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, রবিবার তাঁকে শিলিগুড়িতে ফিরিয়ে আনা হবে।
জানা গিয়েছে, শিলিগুড়িতে আনার পর জয় অধিকারীর সঙ্গে কথা বলবে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। ঠিক কী হয়েছিল, কী করে তিনি মুম্বই পৌঁছলেন, সবটা জানার চেষ্টা করবে পুলিশ। এখনও অবধি এ নিয়ে জয়ের পরিবারের লোকজন সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। কথা বলতে চাননি তাঁর সহকর্মীরাও। জয় না ফেরা পর্যন্ত কথা বলতে চান না তাঁরা।
গত ২৪শে ডিসেম্বরের ঘটনা। কর্মসূত্রে মালদায় গিয়েছিলেন একটি ওষুধ কোম্পানির এরিয়া সেলস ম্যানেজার জয় অধিকারী। রাতে সরাইঘাট এক্সপ্রেস ধরে তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। রাত ১২টা নাগাদ তাঁর মোবাইল থেকে স্ত্রীর কাছে এসএমএস আসে, ‘ট্রেনে উঠে গিয়েছি। একটা ফাঁদে পড়েছি। এখন সব খুলে বলতে পারছি না। কোনওরকমে মেসেজ করছি। এখান থেকে বেরিয়ে ফোন করব।’
পুলিশ সূত্রে খবর, এই মেসেজের জবাবে জয়ের স্ত্রী ‘ওকে’ লেখেন। এর পর থেকে পরিবারের আর জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি বা মেসেজ আসেনি। এর পরই পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ি ও শিলিগুড়ি জিআরপিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের তরফে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, নিখোঁজ হওয়ার আগে জয়ের মোবাইল ফোনের শেষ লোকেশন ছিল বিহারের কিষাণগঞ্জ। এসবের মধ্যেই শুক্রবার মাঝরাতে জয়কে দাদার স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয়।
সেখান থেকে তাঁকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রেল পুলিশ। জয় যে সংস্থায় কর্মরত, সেই সংস্থার মুম্বইয়ের কর্মীরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে যান। এখন সেখানেই রয়েছেন বলে খবর। রবিবার তাঁকে শিলিগুড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শিলিগুড়ি পুলিশের এক কর্তা জানান, এই ঘটনায় তাঁর পরিবারের লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।