শেষ হল শান্তিনিকেতনে ৬ দিনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। শনিবার এই মেলা শেষ হল। এবার মেলায় প্রায় ৭ লক্ষ জন সমাগম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর মেলা শেষে বিভিন্ন ঘটনায় ২৫০টি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এর মধ্যে সব থেকে বেশি অভিযোগ পকেটমারির। কিছু স্টল থেকেও চুরির ঘটনা ঘটেছে। যা সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে। এ ছাড়া মেয়েদের নানা ভাবে উত্যক্ত করার কারণেও একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মহিলাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ১২টি স্পেশাল টিম ছিল এ বারের পৌষমেলায়। প্রতি দলে ৪ জন করে সাদা পোশাকের পুরুষ ও মহিলা পুলিশ ছিলেন। এই স্পেশাল স্কোয়াড মূলত গ্রামীণ কুটির শিল্পীরা যেখানে বসেন, সেখানে নজরদারি চালিয়েছে। সেখান থেকেই মেয়েদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের কারণে একাধিক অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে।
চার বছর পর এ বার ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হল শান্তিনিকেতনে। ২০১৯ সালে শেষ বার মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও রবীন্দ্রনাথের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা করেছিল। ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির কারণে এই মেলা হয়নি। এর পরের দু’বছরও মেলা হয়নি। সে সময় বিশ্বভারতীর উপাচার্য ছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ২০২৩ সালেও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে মেলা নিয়ে বিতর্ক হয়। বিকল্প মেলা করেছিল জেলা প্রশাসন।
সব জট কাটিয়ে ফের পূর্বপল্লির মাঠে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের উদ্যোগে এই মেলা হল এ বার। তবে এ বার ভাঙা মেলা হবে না। তা রুখতে কড়া পদক্ষেপ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও বীরভূম জেলা প্রশাসনের। শনিবার এ নিয়ে একটি বৈঠকও হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কোনও ভাবেই এই মেলার বিকিকিনি ২৯ ডিসেম্বর থেকে হবে না। মাঠ পরিষ্কার করে ৩১ ডিসেম্বরে মধ্যে জাতীয় পরিবেশ আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।
(তথ্য সহায়তায় হেমাভ সেনগুপ্ত)