কচ্ছপের মাংস-সহ খিচুড়ি খেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু এক ব্যক্তির। মৃত ব্যক্তির নাম স্বাধীন বাগদি (৪৮)। তাঁর পরিবারের আরও একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে।
দিন কয়েক আগে কাঁকরতলা থানার বিনোদপুর গ্রামের বাসিন্দা স্বাধীন বাগদি-সহ তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রাতে কচ্ছপের মাংস দিয়ে খিচুড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। মাঝরাত থেকেই শুরু হয় বমি ও পায়খানা। পরের দিন সকালে অসুস্থদের ভর্তি করা হয় নাকড়াকোন্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখান থেকে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দু’জনকে পাঠানো হয় মানসার হাসপাতাল এবং দু’জনকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তির পরও শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় স্বাধীন বাগদীকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় স্বাধীন বাগদির। বাকি ৬ সদস্যের মধ্যে একজন এখনও চিকিৎসাধীন।
বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি এই সময় অনলাইনকে বলেন, ‘সচেতনতার অভাবেই ঘটেছে এই ঘটনা। কচ্ছপের মাংস এবং খিচুড়ি দুটোই গুরুপাক খাবার। দুটি রাতে খাওয়ার ফলেই বিষক্রিয়া থেকে এরকম ঘটনা ঘটেছে বলেই মনে হচ্ছে।’ খয়রাশোলের বিডিও সৌমেন্দু গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে আমার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও কাঁকরতলা থানার ওসির সঙ্গে কথা হয়েছে। সাধারণত কচ্ছপের মাংস খোলা বাজারে বিক্রি করা হয় না, তার কারণ এটা বেআইনি । কিন্তু কোথায় থেকে এই কচ্ছপের মাংস এল, চোরাই পথে এসেছে এই মাংস আসছে কি না সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।’