• পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন নিয়ে পুলিশ কর্মীদের সতর্কতা সিপির
    এই সময় | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • এই সময়: পাসপোর্ট তৈরির সময়ে ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে যে গোলমাল হয়, তা কার্যত মেনে নিচ্ছে লালবাজার। সে কারণে কলকাতা পুলিশের প্রতিটি থানা এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসারদের এ বিষয়ে সতর্ক করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা। শনিবার ক্রাইম কনফারেন্সে তিনি প্রতিটি থানার ওসি–কে নির্দেশ দেন, ভেরিফিকেশন নিয়ে কোনও ধরনের গাফিলতি চলবে না।

    যিনি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করছেন, নিয়ম অনুযায়ী তাঁর নথিপত্র খতিয়ে দেখতে হবে। এমনকী, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভারতীয় কি না, তা যাচাই করতে প্রয়োজনে বাড়িতেও যেতে হবে স্থানীয় থানার বিভাগীয় পদস্থ আধিকারিককে।

    পাসপোর্ট জালিয়াতির ঘটনায় বারাসতের কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সূত্রে জন্মের শংসাপত্র এবং স্কুল সার্টিফিকেট জাল করার বিষয়টি সামনে আসে। একই সঙ্গে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সময়ে পুলিশের একাংশের গাফিলতির বিষয় নিয়েও বিতর্ক দেখা দেয়। সম্প্রতি পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন নিয়ে আলিপুর আদালতের বিচারকের প্রশ্নের মুখেও পড়েছিল কলকাতা পুলিশ। এর পরেই নড়েচড়ে বসে লালবাজার।

    নিয়ম অনুযায়ী, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সময়ে সরেজমিনে তথ্য যাচাই করতে হয় পুলিশকে। সে ক্ষেত্রে থানার নোডাল অফিসার বা স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসারদের উপরে দায়িত্ব পড়ে। অভিযোগ, এই তথ্য যাচাইয়ের সময়ে কিছু পুলিশকর্মীর ঢিলেঢালা মনোভাবের কারণে ভুয়ো নথিতে কেউ কেউ পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশিদের হাতেও চলে যাচ্ছে ভারতীয় পাসপোর্ট।

    এদিকে, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকে পড়ার ঘটনাতেও বারাসত যোগ পাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। ওই এলাকার এক এজেন্ট মারফত ভুয়ো আধার এবং প্যান কার্ড তৈরি করতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মহম্মদ আবিদুর রহমান মধ্যমগ্রামের দেবীগড়ের একটি ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন। সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে আধার এবং প্যানকার্ড তৈরি করে ওই নথি নিয়ে ভারতে প্রায় দশ বছর ধরে যাতায়াত করছিলেন আবিদুর। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ।

    পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘কোথায় কী বিচ্যুতি হচ্ছে, সে বিষয়ে ক্রাইম কনফারেন্সে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সংশ্লিষ্ট অফিসারদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতেও বলা হয়েছে।’

  • Link to this news (এই সময়)