একাধিকবার তাকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ঘুমপাড়ানি গুলি। কিন্তু তাতেও বাগে আনা গেল না বাঘিনি জ়িনাতকে। এ দিকে বাঘিনির আতঙ্কে ঘুম উড়েছে বাঁকুড়ার রানিবাঁধের পুড্ডি অঞ্চলের গোঁসাইডিহি গ্রামের। বাঘিনির গলায় থাকা রেডিয়ো কলারের সিগন্যাল অনুযায়ী, জ়িনাতের অবস্থান ওই এলাকা সংলগ্ন জঙ্গলে।
বাঘিনিকে ঘরে ফেরানোর জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বন দপ্তরের তরফে। বন দপ্তরের সঙ্গে রয়েছে হুলাপার্টিও। গোঁসাইডিহি গ্রামের পাশের জঙ্গলে চারিদিক জাল দিয়ে ঘিরে রেখে আগুন জ্বালানো হয়। শনিবার সারারাত পাহারা দেন বন দপ্তরের কর্মীরা। সূত্রের খবর, রাতে বেশ কয়েকবার ঘুম পাড়ানি গুলি ছোড়া হয়েছিল। কিন্তু কব্জা করা যায়নি জ়িনাতকে।
এ বার জ়িনাতকে বাগে আনার জন্য জালের বেড়া আরও ছোট করে আনা হবে বলে জানিয়েছে বন দপ্তর। বনকর্তা বিদ্যুৎ সরকার জানান, এলাকা ছোট। কিন্তু জঙ্গল অত্যন্ত ঘন। আর সেই কারণে ঘুমপাড়ানি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কিন্তু জাল দিয়ে বাঘিনিকে ঘেরাটোপে রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, শীতের ছুটিতে মুকুটমণিপুরে পর্যটকদের ব্যাপক ভিড়। ডিয়ার পার্কের আশেপাশেও ভিড় পর্যটকদের। এই পরিস্থিতিতে জ়িনাতের বাঁকুড়ায় অবস্থান পর্যটনের উপরেও প্রভাব ফেলছে। আতঙ্কিত পর্যটকরা।
ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে পর্যাপ্ত সচেতনতামূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছেন না পর্যটকরা। বাঁকুড়ার জেলাশাসক সিয়াদ এন জানান, জনজীবনের উপর যাতে জ়িনাতের কোনও প্রভাব না পড়ে সেই জন্য সমস্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ওডিশার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে জ়িনাত তার যাত্রা শুরু করে। ঝাড়খণ্ড সীমানা পেরিয়ে ঝাড়গ্রামের জঙ্গলপথ ধরে বাংলায় ঢুকেছিল সে। এরপর পুরুলিয়া পেরিয়ে বাঘিনি পৌঁছেছে বাঁকুড়ায়।