• পরপর ঘুমপাড়ানি গুলি, তবু ঘুম এল না জিনাতের, বাঘবন্দি খেলায় কোন পথে বাঘিনী?
    আজকাল | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: একদিকে বাঘিনী, কেউ বলছেন জঙ্গল সফরে বেরিয়েছে সে, কেউ বলছেন পথ ভুল করে ঢুকে পড়েছে, হাঁটছে সেই পথেই। কেউ কেউ বলছেন, এ যেন লড়াই প্রযুক্তি বনাম আদিম সভ্যতার। একদিকে ছাগলের পা খেয়ে, মাথা টেনে-খুবলে ফের বনে গিয়ে আত্মগোপন করছে বাঘিনী, অন্যদিকে তার কারণে গত কয়েকদিন নিজেদের জীবনযাত্রা থমকে ঘরবন্দি হয়ে রয়েছেন জঙ্গলমহলের বহু মানুষ।  এ যেন লড়াই ক্ষুধা বনাম ক্ষুধার, বেঁচে থাকা বনাম বেঁচে থাকার। 

    ব্যখ্যা যাই হোক না কেন, আপাতত বাঘিনী জিনাতের ঘুম না আসা পর্যন্ত ঘুম নেই বহু মানুষের।  বাঘিনীর ঘুমের অপেক্ষায় বনদপ্তর। শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ বাঘিনী জিনাতকে তাক করে ছোড়া হয় ঘুমপাড়ানি গুলি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল,  গুলিটি গায়ে লেগেছিল, যদিও পরে জানা যায়,গত দু’ বারের মতোই তৃতীয়বারেও লক্ষ্যচ্যুত হয় গুলি। এর আগে ঝাড়খণ্ড ও চাকুলিয়া রেঞ্জের মাঝে মাত্র ১০মিটার দূর থেকে গুলি ছোড়া হলেও, তা তার গায়ে লাগেনি।  শনিবার দিনভর তল্লাশি চলে জিনাতের। গোসাঁইডিহির গভীর জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে দুপুরবেলা ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হলেও, সেটি লক্ষ্যচ্যুত হয় বলেই জানা যায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, গুলি ছোড়ার কিছুক্ষণ পর্যন্ত জিনাত কিছুটা ঝিমিয়ে রয়েছে বলে মনে করা হলেও, পরে আবার স্বমহিমায় ফিরেছে সে। জঙ্গলের একপাশে আগুন জ্বালানো হলেও, তাতেও কোনও লাভ হয়নি।

    সূত্রের খবর, শনিবার জঙ্গলের যেদিকে জিনাতের অবস্থান জানা গিয়েছিল, সেইসব এলাকা জাল দিয়ে ঘিরে ফেলার পরিকল্পনা করেছে বনদপ্তর। নজরদারি চলছে ড্রোন দিয়েও। সে যদি কংসাবতী জলাধারের আশেপাশের ঝিলমিল জঙ্গলেঢুকে পড়ে, সেক্ষেত্রে বনদপ্তরের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

     তবে একদিকে যেমন জিনাতের আতঙ্ক, একই সঙ্গে অন্যদিকে  দলমা থেকে নেমা আসা হাতিরা আতঙ্ক বাড়াচ্ছে বাঁকুড়ায়। জানা গিয়েছে, দলমা পাহাড় থেকে খাবারের খোঁজে ৬২টি হাতি বাঁকুড়ার বড়জোড়া, সোনামুখী এবং জয়পুর জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বনদপ্তরে আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেছেন, ‘আমরা যেমন বাঘিনি জিনাতের গতিবিধি লক্ষ্য করছি ঠিক সেইভাবে দলমা পাহাড় থেকে আসা হাতির দলকেও আমরা লক্ষ্য রাখছি হাতির দল যেন শহরে ঢুকে ক্ষতি করতে  না পারে।‘
  • Link to this news (আজকাল)