আগামী ১১ জানুয়ারি যুবভারতীতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম ইস্টবেঙ্গল ডার্বি ম্যাচ। যদিও ওইদিন সেই ম্যাচ আদৌ হবে কি না তা নিয়ে জারি রয়েছে সংশয়। এর মধ্যে এনিয়ে মুখ খুললেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে। আবার ডার্বি পিছিয়ে গেলে বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে মনে করছেন তিনি। পাশাপাশি এটাও জানিয়েছেন যে তাতে ফুটবল ও খেলোয়াড়দের ক্ষতি হবে। শুক্রবার বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে ডার্বি ম্যাচের আয়োজক মোহনবাগানকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, গঙ্গাসাগর মেলার জন্য ওই দিন যুবভারতীতে পর্যাপ্ত পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। অগাস্টে মরশুমের প্রথম ডার্বি ভেস্তে গিয়েছিল আরজি কাণ্ডের জেরে। আর এবার সংশয় আইএসএল-এর দ্বিতীয় বড় ম্যাচ নিয়েও।
গঙ্গাসাগরের মেলার জন্য নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয় বলে দাবি বিধাননগর কমিশনারেটের। ফলে পিছিয়ে যেতে পারে ১১ জানুয়ারির মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট-ইস্টবেঙ্গলের (Mohun Bagan Super Giant vs East Bengal) ম্যাচ। অথবা কেন্দ্র বদল হতে পারে। মোহনবাগান কর্তারা যদিও কেন্দ্র বদলের পক্ষে নয়। আইএসএলের সঙ্গে তাঁদের আলোচনার পরেই স্পষ্ট হবে ডার্বির ভবিষ্যৎ।
এনিয়ে কল্যাণ চৌবে বলেন, '"ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ বিশ্বের সেরা পাঁচটি ডার্বির মধ্যে একটি। আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচের জন্য ডিজিটাল এবং টেলিভিশন দর্শক সংখ্যা সর্বাধিক ভারতেই। কলকাতা পুলিশের সক্ষমতা নিয়ে কেউ সন্দেহ করছে না। আমি মনে করি তাদের ভিড় সামলানোর দক্ষতা রয়েছে। ৫-৬ মাস আগে দুর্গাপুজোর সময় যেভাবে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ স্থগিত হয়েছিল এবং এখন যেভাবে আলোচনা চলছে তা আবারও স্থগিত করার বিষয়ে তা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আশা করি যে পুলিশ ম্যাচ হওয়ার জন্য সবকিছু করবে। অন্যথায়, ৬ মাসে দুবার ডার্বি ম্যাচ স্থগিত করা পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে এবং ফুটবল এবং ফুটবল খেলোয়াড়দেরও ক্ষতি করবে।'
এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট শীর্ষে রয়েছে। ইস্টবেঙ্গলও প্রথম ছয়ে ঢুকে পড়ার জন্য লড়াই চালাচ্ছে। পয়েন্ট টেবিলের অবস্থান ডার্বির উন্মাদনায় প্রভাব ফেলে না। তবে পুলিশের অপ্রতুলতা ডার্বির সম্ভবনায় প্রভাব ফেলতে পারে। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, ডার্বি আয়োজনে নিরাপত্তার জটিলতা নতুন নয়। তবে তা সামলে ডার্বি হয়েছে।