সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: ক্রয়কেন্দ্রে এক কুইন্টাল কম ধানের রসিদ দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুরাতন মালদহ ব্লকের নারায়ণপুরে। শনিবার ভুক্তভোগী কৃষক নুরেজা বিবির দাবি, গত ২৪ ডিসেম্বর তিনি স্থানীয় ক্রয়কেন্দ্রে ২০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করেন। সেখানে তাঁকে স্লিপ দেওয়া হয়। বাড়িতে এসে অন্য সদস্যদের দেখালে তিনি জানতে পারেন, রসিদে ১৯ কুইন্টাল লেখা রয়েছে।
নারায়ণপুর কৃষক বাজারের এই ক্রয়কেন্দ্রে সম্প্রতি কুইন্টাল প্রতি তিন কেজির বেশি ধলতা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। মালিকদের গাড়িতে ধান ওঠানোর জন্য কৃষকদের থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ ছিল শ্রমিকদের বিরুদ্ধে।
এদিনের অভিযোগকারী কৃষকের আত্মীয় জয়নাল শেখ বলেন, আমরা এক সঙ্গে দু’জন ধান নিয়ে গিয়েছিলাম। মোট ৪০ কুইন্টালের বেশি ধান ছিল। একসঙ্গে ওজন করি। নিয়ম মেনে ২০ কুইন্টাল করে ধান নেওয়া হয়। তবে আমার দিদির স্লিপে ১৯ কুইন্টাল ধান লেখা রয়েছে।
ক্রয়কেন্দ্রের পার্চেজ অফিসার হেমন্ত রায় বলেন, ওই কৃষক ২০ কুইন্টাল ধান দিয়েছিলেন। সেটা রসিদে ভুল করে ১৯ কুইন্টাল লেখা হয়েছে। মিলের সঙ্গে হিসেব হলে পরে আমরা জানিতে পারি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে চিহ্নিত করা হয়। কাজের চাপে পোর্টাল দেখে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাঁর বক্তব্য, ভেবেছিলাম কৃষক এলে এক কুইন্টাল ধান ও নিয়ে যাওয়ার ভাড়া দেব। নিজস্ব চিত্র।