সংবাদদাতা, বাগডোগরা: পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের খোপালাসি মৌজায় প্রায় ২২ ডেসিমেল জায়গা নিয়ে বিবাদ দু’পক্ষের। নিজের কেনা জমিতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগে সরব অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী টেক বাহাদুর শর্মা। অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ শাহিদের ইন্ধনে গ্রামের বাসিন্দারা সেই জমিতে নির্মাণকাজ করতে দিচ্ছেন না। পাল্টা সেই জমি নিজেদের বলে দাবি করেছেন গ্রামের বাসিন্দা অক্সিমা কেরকেট্টা। জমির মালিক কে? তা নিয়ে শুক্রবার দু’পক্ষ বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। বিবাদ হাতাহাতি পর্যায়ে চলে যায়। মাটিগাড়া থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেই জমি নিয়ে তৃণমূলের দুই জনপ্রতিনিধির মধ্যেও শুরু হয়েছে তরজা। জমি বিবাদে প্রধানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ দিলা শৈব্য। শনিবার কর্মাধ্যক্ষ দিলা বলেন, প্রধান ওই জমিতে আসল মালিককে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন। প্রধান আইনবিরুদ্ধ কাজ করছেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান মহম্মদ শাহিদ। তাঁর দাবি, জমিটি অক্সিমা কেরকেট্টার দাদু রাম খেড়িয়ার। জাল নথি বানিয়ে সেই জমিটি দখল নেওয়ার চেষ্টা করছেন কয়েকজন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই কাজে দিলা শৈব্য জড়িত। দিলা গ্রামবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। টেক বাহাদুর শর্মার বক্তব্য, রাম খেড়িয়া বেঁচে থাকতেই তাঁর এই জমিটি কেনেন মনবাহাদুর। মন বাহাদুরের কাছ থেকে জমিটি কিনেছেন টেক বাহাদুর। তিনি আরও চারজনকে এই জমি বিক্রি করেছেন। কিন্তু সেই জমিতে কাজ করতে বাধা দিচ্ছে রাম খেড়িয়ার উত্তরসূরীরা। টেক বাহাদুরের দাবি,আমাদের কাছে আদালতের ছাড়পত্র রয়েছে। তারপরও স্থানীয় প্রধানের সহায়তায় আমাদের এই জমিতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাম খেড়িয়ার নাতনি অক্সিমা বলেন, আমার দাদু এই জমি বিক্রি করেনি। তারা জাল নথি বানিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করছে। দু’পক্ষই পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিস। তবে জমি বিবাদের মাঝে তৃণমূলের দুই জনপ্রতিনিধির কাজিয়া নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ফোন না তোলায় মাটিগাড়া ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক ক্লেমেন্ট ভুটিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।