অভিষেকের নাম ভাঁড়িয়ে তোলাবাজির মামলা, ৩ দিনের মধ্যে শেক্সপিয়র সরণি থানায় হাজিরার নোটিস বিজেপি বিধায়ককে
বর্তমান | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শেক্সপিয়র সরণি থানায় হাজিরা দিতে হবে কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে’কে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঁড়িয়ে তোলাবাজি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে শেক্সপিয়র সরণি থানা।
কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানাচ্ছে, শনিবার দুপুরে ই-মেল পাঠিয়ে বিজেপি বিধায়ককে তলব করা হয়েছে। আপাতত তাঁকে সাক্ষী হিসেবেই তলব করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে নিখিলরঞ্জন বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কলকাতা পুলিসের কাছ থেকে কোনও চিঠি, ফোন বা মেইল পাইনি। পেলে তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করব।’ পাশাপাশি কিড স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেলের সুপার সুশান্ত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর কাছ থেকে বিজেপি বিধায়কের লেটারহেডে পাঠানো চিঠি সহ বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারী পুলিস অফিসার।
শুক্রবার গভীর রাতে শেখ মহম্মদ ইমরাজের খোঁজে তার বাড়িতে হানা দিয়েছিল শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিসের একটি দল। কিন্তু তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে পুলিসকে। তবে স্থানীয় থানার মাধ্যমে শেখ মহম্মদ ইমরাজকে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস দিয়েছে শেক্সপিয়র সরণি থানা।
কে এই ইমরাজ? জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে কিড স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেলের সুপার সুশান্ত মণ্ডল কলকাতা পুলিসকে জানিয়েছেন, বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে’র লেটারহেডে ইস্যু করা চিঠিতে শেখ ইমরাজকে ঘরের বুকিং দিতে অনুরোধ করা হয়েছিল। তাই কলকাতা পুলিস এখন পলাতক ইমরাজকে খুঁজছে। পুলিসের দাবি, ইমরাজকে হাতের নাগালে পেলে এই রহস্যের অনেকটাই কিনারা হবে।
উল্লেখ্য, তৃণমূল নেতা ও এমপি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঁড়িয়ে কালনার পুর চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা তোলা চাওয়ার ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্ত জুনেদুল হক চৌধুরীর মোবাইল থেকে ইমরাজের আধার কার্ডের ছবি উদ্ধার হয়েছে। স্বভাবতই তদন্তে নেমে পুলিস জানতে চায়, নিখিলরঞ্জন দে, পলাতক ইমরাজ এবং ধৃত জুনেদুলের মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কি না। এদিকে, শনিবার বিকেলে লালবাজারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, ‘এমএলএ হস্টেলের নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’