• চম্পাহাটিতে বিস্ফোরণে মৃত এক ধূলিসাৎ বাড়ি, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২
    বর্তমান | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: তীব্র বিস্ফোরণে গুঁড়িয়ে গেল একটি গোটা বাড়ি। শনিবার দুপুরে বারুইপুর থানার চম্পাহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়াল গ্রামের সর্দারপাড়ায় ঘটেছে এই ঘটনা। এদিন রান্না করার সময় সিলিন্ডার ফেটে যায়। সেই আগুন বাড়িতে মজুত থাকা বাজির সংস্পর্শে আসতেই তীব্র বিস্ফোরণ হয়। এতে তিনজন গুরুতর জখম হন।  তাঁদের কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে শুভঙ্করী সর্দার (৫১) নামে এক মহিলার। 


    এদিন দুপুরে স্থানীয় বাজি ব্যবসায়ী পিন্টু মণ্ডলের বাড়িতে রান্না হচ্ছিল। তবে কালীপুজোর অবিক্রিত প্রচুর বাজি রাখা ছিল সেই বাড়ির একটি ঘরে। কিন্তু আচমকা বিস্ফোরণে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে গোটা বাড়ি। অগ্নিদগ্ধ হন পিন্টু, তাঁর স্ত্রী শুভঙ্করী সর্দার ও ভক্তি সর্দার নামে আরও একজন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় বাড়ি ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। বিস্ফোরণের শব্দ বহু দূর পর্যন্ত শোনা যায় বলে দাবি গ্রামবাসীদের। এরপরই গ্রামবাসীরা চলে আসেন ঘটনাস্থলে। তাঁরাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান প্রথমে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থাও করেন তাঁরা। আহতদের মধ্যে শুভঙ্করীদেবীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে ঘটনাস্থলে আসে বারুইপুর থানার পুলিস। তবে আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়েনি বলে বড় বিপত্তি এড়ানো গিয়েছে। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 


    স্থানীয় ব্যবসায়ী অলোক মণ্ডল বলেন, এবার কালীপুজোয় পিন্টুর ব্যবসা ভালো হয়নি। যত অবিক্রিত বাজি ছিল, সব ঘরেই রেখেছিল ও। সেটাই কাল হয়েছে বলে মনে হয়। 


    এদিকে, কীভাবে বিস্ফোরণ হল, তার তদন্তে নেমেছে পুলিস। বারুইপুর পুলিস জেলার এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, বিস্ফোরণস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা হবে। তারপরই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে। ওই বাড়িতে কী ধরনের বাজি মজুত ছিল সেটাও দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রথম 


    নয়, চম্পাহাটিতে এর আগেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কখনও বাজি তৈরি করতে গিয়ে, কখনও আবার রান্না করার সময় ঘটেছে বিপত্তি।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)