মদ কেনার টাকা না পেয়ে অফিস ফেরত যুবকদের মারধরের অভিযোগ উঠল দমদমে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যেই রাজনীতির রং লাগতে শুরু হয়েছে এই ঘটনায়। আক্রান্তের বাবার অভিযোগ, হামলাকারীরা এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রবীর পালের অনুগামী বলে পরিচিত। এলাকার কাউন্সিলর তন্দ্রা সরকারও আক্রান্তের বাবার বক্তব্যকেই সমর্থন করেছেন। আপাতত আক্রান্ত দু’জনের মধ্যে একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় দমদমেরই একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অভিযোগ, শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দমদম মধুগড় দিয়ে যাচ্ছিলেন দুই যুবক শ্রীতম চট্টোপাধ্যায় ও সানি সিং। রনির বাবা অজয় চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, মিলনচক্র ক্লাবের সামনে কয়েকজন দুষ্কৃতী মদ খাওয়ার টাকা চায়। তা দিতে অস্বীকার করায় ছেলে ও ছেলের বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করা হয়। লোহার রডের পাশাপাশি বন্দুকের বাট, হকির স্টিক দিয়েও মারা হয় বলে অভিযোগ। রনির চোখে সাংঘাতিক আঘাত লাগে। মাথার পিছনে আঘাত লাগে সানির।
রনির বাবা অজয় চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আমার ছেলের একটা চোখ একেবারে যেতে বসেছে। আরেকটা চোখের অবস্থাও খারাপ। মেরে মাথাও ফাটিয়ে দিয়েছে।’ নাগেরবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে রনির পরিবার।
দক্ষিণ দমদম এলাকায় প্রায়শই অশান্তির অভিযোগ সামনে আসে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তন্দ্রা সরকারের মুখেও দুষ্কৃতী হামলার কথা। তা হলে এলাকার নিরাপত্তায় তাঁর কী ভূমিকা? কাউন্সিলর বলেন, ‘এরা সমাজবিরোধী। সর্বত্রই এরকম কিছু ছেলে থাকে। তোলাবাজি করে, মদ, গাঁজা খায়। এদের আর কোনও কাজ নেই। শান্ত ওয়ার্ডকে অশান্ত করতে চেষ্টা করছে।’
কিন্তু কাদের নিরাপদ আশ্রয়ে এই সমাজবিরোধীদের এত বাড়বাড়ন্ত? কাউন্সিলরের জবাব, ‘ওর বাবা তো বলেছেন কী হয়েছে। সবই তো শুনেছেন। শুধু বলব এরা এ ভাবেই ওয়ার্ডে দাপাদাপি করে বেড়াচ্ছে।’ এখনও অবধি প্রাক্তন কাউন্সিলরের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।