ফুচকাপ্রেমীদের কাছে স্বর্গ এই দোকানটি, এক পিস ফুচকা দেখলেই কপালে উঠবে চোখ, জানুন বিস্তারিত...
আজকাল | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
মিল্টন সেন: বছরের শেষে ফেস্টিভ সিজনে ক্রমশ ভিড় বাড়ছে হুগলি জেলার অন্যতম আকর্ষণ ব্যান্ডেল চার্চে। তবে সেখানে গিয়ে শুধু চার্চ ঘুরেই চলে আসছে না সাধারণ মানুষ। ব্যান্ডেল চার্চ গিয়ে বিখ্যাত হয়ে ওঠা রাজার ফুচকা চেখে না দেখলেই নয়। এই দোকানেই বিশেষত্ব গোটা থালা জুড়ে থাকছে একটাই ফুচকা। আর তার সাইজও চোখে পড়ার মত। শীতকালে সেই ফুচকা খেতে ভিড় জমাচ্ছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা। ফুচকা আট থেকে আশি সকলের প্রিয় খাবার। বড়দিন উপলক্ষ্যে পর্যটকদের ভিড় জমেছে ব্যান্ডেল চার্চে। আর এই ভিড় থাকবে জানুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত। চার্চ সংলগ্ন এলাকায় বসেছে হরেক রকম খাবারের দোকান।তার মধ্যে একাধিক ফুচকার স্টল থাকা সত্ত্বেও নজর কেড়েছে ব্যান্ডেলের কেওটা সংহতি পল্লীর বছর উনত্রিশের ফুচকা বিক্রেতা রাজা ঢালি। চার্চের পিছন দিকেই রয়েছে তার দোকান। রাজার ফুচকায় রয়েছে এক আলাদা বৈশিষ্ট্য।
এখানকার ফুচকায় দেওয়া হয়ে থাকে পেঁয়াজ। ছোট ফুচকার মতোই প্লেটে সাজিয়ে দেওয়া হয় পেল্লাই সাইজের বড় বড় ফুচকা। কাঁচের বাক্সে থাকা সেই বিশাল আকৃতির ফুচকা দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফুচকাপ্রেমীদের। তবে অনেকেই আছেন যারা বড় ফুচকা থেকে সাধারণ ফুচকার দিকেই বেশি ঝুঁকছেন। সাধারণ ফুচকা যেখানে ১০ টাকায় ৪ টি পাওয়া যাচ্ছে সেখানে একটি বড় ফুচকার দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। যদি চাটনি বা দই ফুচকা হয় তাহলে তার দাম প্রায় ১০০ টাকা। তাই অনেকের খাওয়ার সাধ থাকলেও সাধ্যে কুলোচ্ছেনা। আবার অনেকে মনে করছেন একার পক্ষে এত বড় ফুচকা খাওয়া অসম্ভব। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে চার্চের পিছনে ফুচকার ব্যবসা করতেন রাজার বাবা রবিন ঢালি। ২০১৮ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর এখন ব্যবসার দায়ভার রাজার হাতেই।
ছেলের পাশেই ফুচকার ব্যবসা করছেন রাজার মাও। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকে দোকান। জান গেল, এখন বড়দিন উপলক্ষ্যে বিকিকিনি হচ্ছে ভালই। দোকান খোলা থাকছে রাত পর্যন্ত। শুধু বড় ফুচকা খাওয়ার জন্যই বহু মানুষ আসেন রাজার দোকানে। তবে এই বড় ফুচকার দামটা একটু বেশি। আকার বড় হওয়ায় ভেতরের অংশ আলু সহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ভরাতে হয়। কেউ দই ফুচকা খেতে চাইলেও তাতে অনেক রকমের মশলা দিতে হয়। সে কারণেই দামটা একটু বেশি। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ হাজার ফুচকা বিক্রি হয় রাজার দোকানে। ক্রেতারা জানাচ্ছেন, বড় ফুচকার পাশাপাশি এখানকার ছোট ফুচকার স্বাদও বেশ ভাল।