রাতে বাংলাদেশ সীমান্তের হবিবপুরে বিএসএফের গোয়েন্দা দলের হানা! কী কী উদ্ধার?
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
এবার ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা হাবিবপুর থেকে উদ্ধার হল ৫৪ টি চোরাই মোবাইল সহ বহু সামগ্রী। সদ্য গোপন সূত্রে খবর পেয়েই শনিবার রাতে অভিযান চালায় বিএসএফ-র গোয়েন্দা দল। তখনই তারা একটি বাড়ির ভিতর থেকে বিপুল পরিমাণ সামগ্রী উদ্ধার করে।
ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে মালদার হবিবপুর এবার খবরে। হবিবপুর থানার অন্তর্গত কলাইবাড়ি এলাকায় সদ্য হানা দেয় বিএসএফের একটি দল। সেখানে হানা দিয়ে একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫৪ টি চোরাই মোবাইল ৫০ হাজার টাকা নগদ এবং ২০ টি বিলেতি মদ উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তির বাড়িতে এই হানা দেওয়া হয়েছে, তাঁর নাম দীপঙ্কর মণ্ডল। সেখানে পৌঁছে যায় বিএসএফের গোয়েন্দা দল। জানা গিয়েছে, বিএসএফের টিম সেখানে পৌঁছলেও, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দীপঙ্কর মণ্ডল। তাঁর খোঁজ চলছে। বিএসএফ সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, বাজেয়াপ্ত জিনিসগুলি, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচারের পরিকল্পনা ছিল।
সদ্য ‘এই সময়’র একটি রিপোর্ট দাবি করেছে, বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় আচমকা সক্রিয় হয়ে গিয়েছে দালাল চক্র। এঁদের 'কোড' নাম ভারি। বেশ কিছু ক্ষেত্রে চ্যাংদোলা করেও কাঁটাতার পার করিয়ে দিতে এরা সক্ষম। বিনিময়ে খুব বেশি হলে নিয়ে থাকেন ৬০০ টাকা। এই দালাল চক্রের বাড়বাড়ন্তের ক্ষেত্রে উঠে আসছে কাঁটা রুটের প্রসঙ্গ। জানা যাচ্ছে, দুই দেশের মধ্যে থাকা কাঁটা তারের ফাঁক গলে তৈরি হওয়া রাস্তাই হল কাঁটা রুট। কাঁটাতারের মাঝের ফাঁকা অংশে কাঠের পাটাতন রাখা হচ্ছে। দুই প্রান্তে থাকছেন অন্তত ৬ জন লোক। সপ্তম জন কাঠের পাটাতনে কাউকে বসিয়ে বা শুইয়ে ধাক্কা দিয়ে অন্যপ্রান্তে অবৈধভাবে পার করে দিতে পারছেন। এই গোটা পন্থা হল, 'ধাক্কা পাসপোর্ট।'
এদিকে, আজ সদ্য কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে সাফ জানানো হয়েছে, কোনও মতেই যাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে জাল নথি ব্যবহার করে কেউ ভারতীয় পাসপোর্ট না পান, তার জন্য সমস্তরকমের স্তরের নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।