• ‘সমব্যথী’ প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতেও ‘কাটমানি’, অভিযুক্ত বিজেপির পঞ্চায়েত, শোরগোল মালদায়
    এই সময় | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • মৃত ব্যক্তির সৎকারের জন্য রাজ্য সরকার ২০১৬ সালে চালু করেছে ‘সমব্যথী প্রকল্প’। মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। সেই প্রকল্পের জন্য কোনও খরচ বহন করতে হয় না সাধারণ মানুষকে। তবে মালদা জেলার বামনগোলা ব্লকে উঠছে ভয়ঙ্কর অভিযোগ। ‘সমব্যথী’ প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার সময় নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। স্থানীয় বিডিও-র কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন কয়েকজন বাসিন্দা। অভিযোগের তির বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের দিকে।

    মালদার বামনগোলা ব্লকের চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ডাঙ্গি এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা এই অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের পঞ্চায়েতের নির্ধারিত করের রশিদ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ভূমি ও গৃহ সংক্রান্ত কর বাবদ ৫০ টাকা ধার্য হয়েছে। এছাড়া ‘অন্যান্য’ খাতে অতিরিক্ত ৫০ টাকা ধার্য হয়। এছাড়াও সমব্যথী প্রকল্পের নাম করে অতিরিক্ত ১০০/২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি। তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা।

    চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান পাপিয়া ঢালি সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ঘটনার কথা শুনেই আমি ট্যাক্স কালেক্টরকে এই অতিরিক্ত টাকা নিতে নিষেধ করেছি। তবে নিয়মের বাইরে বা অতিরিক্ত ট্যাক্স কাটা হচ্ছে না বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘পূর্বে পঞ্চায়েতের যা নিয়ম ছিল, সেই নিয়ম অনুযায়ী চৌকিদারি ট্যাক্স কাটা হচ্ছে। অতিরিক্ত কোনও টাকা নেওয়া হচ্ছে না।’

    বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মালদা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু বলেন, ‘বামনগোলা ব্লকের চাঁদপুরে গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রধান। সমব্যথী প্রকল্পের মতো সংবেদনশীল ও মানবিক প্রকল্পে সাধারণ মানুষের থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে। বিজেপির প্রধান সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করছেন। এর প্রতিবাদ করা হবে।’

    স্থানীয় বিডিও মনোজিৎ রায়কে অভিযোগ জানান গ্রামবাসীরা। বিডিও জানান, বিষয়টি জেলাশাসককে জানানো হয়েছে। মালদা জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)