ভাল মানুষ গড়ার কারিগর 'শিশু কিশোর অ্যাকাডেমী', ইন্দ্রনীল সেন...
আজকাল | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
মিল্টন সেন,হুগলি: 'একজন ভাল মানুষ বানানোর কারিগর এই শিশু কিশোর অ্যাকাডেমী। স্ব স্ব ক্ষেত্রে ছাত্র ছাত্রীরা যাতে উন্নতি করতে পারে তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির এই উদ্যোগ। কাউকে কিছু চাপিয়ে দেওয়া নয়, যে যেটা চায়, যেটা সে করতে পারে, সেটাই করুক। তার সেই করার মধ্যে থেকেই প্রতিভার অন্বেষণ ঘটবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বদা তাদের পাশে রয়েছেন।'
রবিবার চন্দননগরে শিশু কিশোর উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তিনি আরও বলেন, 'এই শিশু কিশোর প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বদা বলেন, এই শিশু কিশোররা একদিন তরুণ হবে। আর তাদের তারুণ্যের মধ্যে দিয়েই এই বাংলা হয়ে উঠবে বিশ্ব বাংলা।' রবিবার মহা সাড়ম্বরে উদ্বোধন হয় শিশু কিশোর উৎসবের। চন্দননগর মেরির মাঠে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন।
উপস্থিত ছিলেন রাজ্য শিশু কিশোর অ্যাকাডেমীর সভাপতি প্রাক্তন সাংসদ অর্পিত ঘোষ, সচিব মন্দাক্রান্তা মহালনবীশ, হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য, ডিসি চন্দননগর অলকানন্দা ভাওয়াল, চন্দননগরের মহানাগরিক রাম চক্রবর্তী, মহকুমা শাসক বিষ্ণু দাস প্রমুখ। এছাড়াও ছিলেন চন্দননগর পুর নিগমের মেয়র পরিষদ এবং সদস্যরা।
এদিন রাজ্য তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগীতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা আড়াই হাজারের বেশি ছাত্র ছাত্রী। বিভিন্ন জেলায় গান, নাচ, নাটক, আবৃত্তি সহ আরও নানা বিভাগে জয়ী প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হওয়া প্রতিযোগীরা রাজ্য স্তরের এই উৎসবে অংশ গ্রহণ করে। চন্দননগর রবীন্দ্র ভবন, যতীন্দ্রনাথ সভাগৃহ এবং মেরির মাঠ এই তিন জায়গায় আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে উৎসব।
মেরির মাঠে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে এক বিজ্ঞান প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রতিযোগীদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে চন্দননগর কেএমডিএ পার্কে অবস্থিত রাজ্য পর্যটন দপ্তরের আলো হোটেলে। উৎসব প্রসঙ্গে এদিন শিশু কিশোর অ্যাকাডেমীর সভাপতি অর্পিতা ঘোষ জানিয়েছেন, আগামী পাঁচ দিন ধরে চন্দননগরে চলবে এই উৎসব। বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জয়ী ছাত্র ছাত্রীরা এই মঞ্চে তাদের প্রতিভা তুলে ধরবেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রত্যেক প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হবে। দেওয়া হবে স্মারক এবং মানপত্র, যা পরবর্তী সময়ে চলার পথে তাদের কাজে লাগবে।