অরিন্দম মুখার্জি: কংসাবতীর উত্তর বনবিভাগের রঘুনাথপুর এলাকায় ধানক্ষেতের মধ্যে ফাঁদে পা দিল এক পূর্ণবয়স্ক ডোরাকাটা হায়না। ঘটনাটি ঘিরে সকাল থেকেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বেরো গ্রামের ধানক্ষেতের মধ্যে একটি বন্যপ্রাণীকে ছটফট করতে দেখে গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাটি প্রথম দেখলেও প্রথমে কারোরই সাহস হয়নি প্রাণীটির কাছে যাওয়ার। ফাঁদে পা দেওয়া প্রাণীটি আসলে বাঘইনী জিনাত নাকি অন্য কোনও প্রাণী তাও দূর থেকে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। পরে গ্রামবাসীরা বন বিভাগের কর্মীদের খবর দেন। বনবিভাগের কর্মীরা দেখেন সেটি একটি ডোরাকাটা হায়না। তাঁরা আহত অবস্থায় হায়নাটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। বনদপ্তর সূত্রে খবর, প্রথমে বনকর্মীরা হায়নাটিকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করা হবে।
প্রয়োজনীয় সেবা শেষে তাকে সুরুলিয়া মিনি চিড়িয়াখানায় স্থানান্তর করা হবে। গ্রামবাসীদের থেকে খবর পেয়ে বনদপ্তরের কর্মীরা আশা করছিলেন বাঘিনী জিনাতকে ফাঁদে ফেলে ধরার। রেডিও কলারের সাহায্যে তাকে নজরে রাখা হলেও, এদিন প্রথমে জিনাত নয়, ফাঁদে পড়ে ওই হায়নাটি। পরের দিকে অবশ্য ঘুমপাড়ানি গুলিতে বনকর্মীরা জিনাতকে খাঁচা বন্দি করে ফেলেছেন। রেডিও কলারের সাহায্যে জিনাতের লোকেশন জানতে পেরে তৎপর ছিলেন কর্মীরা। এদিন ঘুমপাড়ানি গুলি গায়ে লাগলে সাতদিনের লুকোচুরি শেষে অবশেষে ধরা দেয় ওড়িশার বাঘিনী। তবে হায়নার ঘটনায় বেরো গ্রামের মানুষজনের ভূমিকাও প্রশংসনীয়। বনদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা দ্রুত উদ্ধারকাজে সহায়তা করেছেন। এলাকায় এমন অজানা বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি নতুন করে নিরাপত্তার চিন্তা বাড়িয়েছে। বাঘ বন্দি খেলার মাঝেই হায়নার এই উপস্থিতি বনদপ্তরের কাছেও একপ্রকার অপ্রত্যাশিত ঘটনা।