বাগে এল বাঘিনী! কোন কৌশলে জিনাতকে ধরে ফেলতে পারল বনদফতর?
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
দাপুটে বাঘিনী শেষমেশ বাগ মানল! ওড়িশার শিমলিপাল জঙ্গল থেকে ঝাড়খণ্ড হয়ে ঝাড়গ্রাম, তারপর পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে বাঘিনী জিনাত। বহু খাবারের টোপ, বহু ফাঁদ, বহু জাল পার করে এগিয়ে গিয়েছিল নিজের মতো। তৎপরতা তুঙ্গে রেখে এগিয়েছিল বনদফতর। শেষমেশ বাঘবন্দি খেলা শেষ হল রবিবারের বিকেলে। বনদফতর ফিরে পেল বাঘিনী জিনাতকে। এবার তাকে সুস্থভাবে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পালা! কীভাবে সম্ভব হল জিনাতকে খাঁচাবন্দি করা?
চ্যালেঞ্জ কম ছিল না। শেষমেশ তা পার করে ফেলল বনদফতর। গত ৮ দিন ধরে কার্যত বনদফতরকে তুমুল বেগ পেতে হয়েছে বাঘিনী জিনাতকে ধরতে। শনিবার তাকে টার্গেট করে ট্রাঙ্কুলাইজার দেওয়া হলেও, তা জিনাতের গায়ে লেগেছিল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। তবে এরপরই স্ট্র্যাটেজিতে বদল আনে বনদফতর।
শনিবার সকালে বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থামার আওতায় গোঁসাইডিহি গ্রামের লাগোয়া এক জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল বাঘিনী জিনাত। প্রথমেই বাঘিনীর অবস্থান নিশ্চিত করে বনদফতর। তারপর তাকে ট্রাঙ্কুলাইজার দিয়ে ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয়। তবে তাতেও কাজে দেয়নি। বাঘিনী কোথাও জঙ্গলের অন্দরেই লুকিয়ে গিয়েছিল। বাঘিনীর গলায় ছিল তাকে ট্র্যাক করার জন্য রেডিও কলার। তবে শনিবারের পর গোটা জঙ্গল ধীরে ধীরে ঘিরে ফেলে কিছু জায়গায় নিয়ন্ত্রিতভাবে আগুন লাগিয়ে তাকে ধরার স্ট্র্যাটেজি স্থির হয়। সেই কৌশলেই আসে সাফল্য। শেষমেশ বাঘিনী বন্দি হয়। বনদফতর সূত্রে খবর, এদিনও জিনাতকে লক্ষ্য করে দুপুরে ঘুম পাড়ানি গুলি করা হয়। তার ৩০ মিনিট পরই খবর আসে, বাঘিনী জিনাতকে খাঁচায় ঢোকানো গিয়েছে।
ধরা পড়ে যায় জিনাত। দিনের পর দিন তার নিজের মতো করে জঙ্গল দাপানোর পর এবার জিনাতের চেনা ডেরায় ফেরার পালা ! এবার জিনাত ফিরবে সিমলিপালের জঙ্গলে.. ঘরে ফিরবে বাঘিনী!
এদিকে, জিনাত ধরা পড়তেই এলাকাবাসীর স্বস্তি ফিরে আসে। বনদফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ‘সেফ প্যাসেজ’ দিয়ে জিনাতকে নিয়ে যাওয়া হবে। বাঁকুড়ার মুখ্য বনপাল এস কুলানডাইভেল বলেন, ‘যে দিন থেকে ঢুকেছে অনেক স্টাফ, অফিসারের ঘুম উড়ে গিয়েছিল।.. আমরা বনদফতর এটা আমাদের কর্তব্য, দায়িত্ব, তবে আমার দফতর ছাড়াও অনেক অফিসার এখানে আমাদের সমর্থন করেছে। সকলের সমর্থন পেয়েছি। সকলকে ধন্যবাদ।’