স্বামীর সঙ্গে মিলেই মহিলাকে খুন! ধৃত আবুর দাবিতে চাঞ্চল্য
বর্তমান | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ ও সংবাদদাতা চাঁচল: আমবাগানে মহিলাকে গলা কেটে খুন করে আগুনে পোড়ানোর ঘটনায় নয়া মোড়। চাঁচল থানার মালতিপুরের ওই ঘটনায় খুনের পর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার কথা কবুল করেছে ধৃত আবু তালেব। তবে, খুনের ঘটনার সঙ্গে ওই মহিলার প্রাক্তন স্বামীর যোগ রয়েছে বলেও চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে সে। রবিবার চাঁচল আদালতে পেশ করার সময় চিৎকার করে তালেব বলে, প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে মিলেই ওকে খুন করেছি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের এই চাঞ্চল্যকর দাবির পর নিহতের প্রাক্তন স্বামীকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে মালদহের চাঁচল থানার মালতিপুরের একটি নির্জন আমবাগান থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখে সেখানে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। কাছে যেতেই তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ। খড়ের গাদায় এক মহিলার দেহ পুড়তে দেখে শিউরে ওঠেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে চাঁচল থানার পুলিস।
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিস আততায়ীকে খুঁজে বের করে। ধৃতকে এদিন চাঁচল আদালতে পেশ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজতে চেয়েছিল পুলিস। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
তালেব খুনের কথা কবুল করলেও তদন্ত এখনও অনেক বাকি বলে তদন্তকারীরা জানান। কারণ প্রাথমিকভাবে খুনের নেপথ্যে বৈবাহিক টানাপোড়েন এবং বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কের যোগ রয়েছে বলে আপাতত মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে এর পিছনে সম্পত্তি সহ অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে আছে কিনা সেই দিকটিও দেখা হচ্ছে।
তালেব কীভাবে একা খুন করল? তার আগে কি মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল? এমন সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিস।
ইতিমধ্যে মহিলার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দলও ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে। সমস্ত রিপোর্ট আসার পরই জানা যাবে বহু প্রশ্নের উত্তর।
বছর ১৫ আগে ওই মহিলার বিয়ে হয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। যদিও সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে গত এক বছর ধরে ওই মহিলা স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসেন। এলাকার যুবক আবু তালেবের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা হয়। মহিলা খুনের পর মৃতদেহের পাশ থেকে একটি রক্তমাখা রেলের টিকিট উদ্ধার করেই খুনের রহস্যভেদ করেন তদন্তকারীরা। (আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তালেবকে। - নিজস্ব চিত্র।)