• নুরপুরে কালিন্দীর ভাঙনে জলের তলায় চাষের জমি
    বর্তমান | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: কেন্দ্রের উদাসীনতার ফলে মানিকচকের নুরপুরে গতিপথ বদলে যাচ্ছে কালিন্দী নদীর। এই নদীর উপরে নুরপুর ব্যারেজে পাঁচটি গেটের বেশিরভাগই অকেজো। ফলে গত কয়েক দিনে ভাঙনের জেরে বিঘার পর বিঘা ফসলি জমি নদীর তলায় চলে গিয়েছে। এমনকি রাজ্য সড়কের পাশেও শুরু হয়েছে ভাঙন। এতে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দা ও চাষিরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।


    একই সুর মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের পাশে দাঁড়িয়ে ভাঙনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বলেন, বাংলাকে বঞ্চনা করে যাওয়ার আর একটি নজির এই নুরপুর ব্যারেজ।


    ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের অধীনে নুরপুরের ব্যারেজ। কালিন্দী নদীর উপর ব্যারেজটির নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা দিনরাত মোতায়েন থাকেন এখানে। তবে গত কয়েকদিন ধরে নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক হারে শুরু হয়েছে ভাঙন। বিস্তীর্ণ এলাকায় ফসলি জমি নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। এজন্য ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ ও কৃষকরা। জল আটকানোর জন্য এই নুরপুর ব্যারেজে পাঁচটি লকগেট থাকলেও দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় একাধিক গেট অকেজো হয়ে পড়েছে। পলি ও বালি মাটি জমে বন্ধ হয়েছে গেট। এতে ধীরে ধীরে গত দুই বছর ধরে নদীর গতিপথ বদলে যাওয়ায় শুরু হয়েছে ভাঙন। 


    স্থানীয় শেখ সারিফ বলেন, নুরপুর ব্যারেজ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। তাদেরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এই ভাঙন থামাতে হলে নদী সংস্কার করে গতিপথ সোজা করা প্রয়োজন। এছাড়া বন্ধ থাকা লকগেট মেরামত করতে হবে। শনিবার এই পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সিটুর জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা সহ বামফ্রন্টের নেতারা। দেবজ্যোতি বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে দলের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে ব্যারেজ সংস্কার ও ভাঙন রোধের দাবি জানানো হবে। দক্ষিণ মালদহের জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মণ্ডল বলেন, কেন্দ্রের টাকায় রাজ্য সরকার চলছে। নদীর তীরে ভাঙনের বিষয়টা দেখার দায়িত্ব রাজ্যের। এটা কেন্দ্রের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। 


    (নুরপুর ব্যারেজ। -নিজস্ব চিত্র)
  • Link to this news (বর্তমান)