হাটের রাস্তায় বেআইনি নির্মাণ সরাতে এক সপ্তাহের সময়সীমা
বর্তমান | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: হাটের ভিতরের রাস্তা দখল। আর সেই রাস্তায় দেদার তৈরি হয়েছে বেআইনি নির্মাণ। সেখানে জমিয়ে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। তাতে ক্রেতা ও অন্য হাটুরেদের সমস্যা হলেও ডোন্ট কেয়ার। এই দখলদারদের বিরুদ্ধে কড়া হাতে ময়দানে নামল আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ। হাটের গলি থেকে অবৈধ নির্মাণ সরিয়ে নিতে দখলদারদের নোটিস দেওয়া শুরু করল তারা। রবিবার মাদারিহাট দিয়ে পরিষদ এই নোটিস দেওয়া শুরু হয়েছে। এদিন হাটের ৮৪জন ব্যবসায়ীকে জেলা পরিষদ এই নোটিস ধরিয়েছে।
নোটিসের মাধ্যমে হাটের ভিতরের রাস্তা দখল করে গড়ে তোলা বেআইনি নির্মাণ সরিয়ে নিতে দখলদারদের এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। তারপরও কাজ না হলে পুলিস ও প্রশাসন দিয়ে এই নির্মাণ গুঁড়িয়ে দেবে জেলা পরিষদ। হাটের রাস্তা দখল করে ব্যবসা কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না বলে জেলা পরিষদ জানিয়েছে।
আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের অধীনে ২১টি হাট রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় শামুকতলা হাট। তারপরই রয়েছে পলাশবাড়ি, জটেশ্বর ও বারোবিশা হাট। শামুকতলা হাট থেকে পরিষদের বছরে ২৭-৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত রাজস্ব আয় হয়। অন্য হাটগুলি থেকে বছরে ১২-১৩ লাখ টাকা পর্যন্ত রাজস্ব আয় হয় পরিষদের।
অভিযোগ, বহু হাটের রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছেন একশ্রেণির ব্যবসায়ী। হাটের রাস্তা দখল করে বেআইনি নির্মাণ গড়ে তোলা হয়েছে। রাস্তা আটকে দোকান, প্ল্যাস্টিকের ছাউনি, দোকানের বারান্দা গড়ে উঠায় অন্য হাটুরে, ক্রেতারও বিপদে পড়েছেন। এনিয়ে হাটুরে মানুষদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের ঝামেলাও হয়।
হাটগুলি থেকে এই অভিযোগ আসতে থাকায় জেলা পরিষদ সার্ভের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সার্ভের পরই রাস্তার দখলদার ব্যবসায়ীদের নোটিস দেওয়া শুরু করল পরিষদ। সার্ভেতে মাদারিহাটের ৮৪ জন ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা হাটের ভিতরের রাস্তা দখল করে বেআইনি নির্মাণ তুলে ব্যবসা করছেন।
এই ব্যাপারে জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ দীপনারায়ণ সিনহা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উচ্ছেদের বিরুদ্ধে। তাই আমাদের সাফ কথা, হাটুরে-ক্রেতাদের সমস্যা করে হাটে ব্যবসা করা যাবে না। সার্ভে করে জেলার হাটগুলি থেকে বেআইনি নির্মাণ সরিয়ে দেওয়া হবে। এজন্য নোটিস দিয়ে ব্যবসায়ীদের বেআইনি নির্মাণ সরিয়ে নিতে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হচ্ছে। তারপরও কাজ না হলে পুলিস ও প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে হাটের রাস্তায় থাকা বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হবে। কাউকেই রেয়াত করা হবে না।