নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কলকাতায় এমএলএ হস্টেল কাণ্ডে এবার শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিসের তলব পেলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। শনিবার রাতে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিস তাঁর বাড়িতে ও হাতে ওই তলবি চিঠি পৌঁছে দিয়েছে। একাধিক শর্তযুক্ত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে আজ, সোমবার নিখিলরঞ্জনকে শেক্সপিয়র সরণি থানায় গিয়ে তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিজেপি বিধায়ক এই বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। রবিবারই কলকাতার উদ্দেশে রওনাও হয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, এমএলএ হস্টেলে তাঁর নামে ঘর বুক করার অভিযোগ উঠেছে। এই সূত্রেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঁড়িয়ে তোলাবাজির অভিযোগও সামনে এসেছে। নিখিলরঞ্জন আগেই জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্তে তিনি পুলিসকে যাবতীয় সহযোগিতা করবেন। পুলিসের চিঠি পেয়ে সেইমতোই তিনি কলকাতামুখো হয়েছেন।
এদিকে, এমএলএ হস্টেল কাণ্ডে বিজেপি বিধায়ককে পুলিসের তলব নিয়ে কোচবিহার জেলার রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক জানান, বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে তাঁরা প্রচার করবেন। তবে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দাবি, এটা পুলিসি তদন্তের বিষয়, অতএব তারাই দেখবে। অন্যদিকে নিখিলরঞ্জনের দাবি, এ নিয়ে বিরূপ প্রচারে গেলে বিষয়টি তৃণমূলের জন্যই ব্যুমেরাং হবে।
অভিজিৎ বলেন, দায় মেনে বিজেপি বিধায়কের পদত্যাগ করাই উচিত। অন্যদিকে, রবিবার কলকাতা রওনা হওয়ার আগে নিখিলরঞ্জন বলেন, শেক্সপিয়র সরণি থানার চিঠি পেয়েছি। সোমবার (আজ) থানায় যাব এবং তদন্তে পুলিসকে সবরকম সহায়তা করব। এর মধ্যে কোনও ‘ষড়যন্ত্র’ রয়েছে বলেই আমার সন্দেহ। না-হলে আমার অফিসিয়াল প্যাড, সই কোথা থেকে পেল ওই ব্যক্তি? আমি চিনিই না তাকে। অতএব, অনুমতি দেওয়ারও কোনও প্রশ্ন নেই। নিশ্চয় জাল করা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, বিজেপি বিধায়ক তাঁর বক্তব্য পুলিসকেই জানাবেন। এটা রাজনীতির কোনও বিষয় নয়।