• পুকুর থেকে দু’দফায় উদ্ধার বস্তাবন্দি দেহাংশ, বারাসতে দানা বাঁধছে রহস্য
    বর্তমান | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: শনিবার রাতের পর রবিবার সকাল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বারাসতের হৃদয়পুর এলাকার একটি পুকুর থেকে দু’দফায় বস্তাবন্দি খণ্ডবিখণ্ড দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। কে বা কারা এভাবে দেহাংশ বস্তাবন্দি করে ফেলে গেল, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। বারাসত থানার পুলিস দেহাংশগুলি ময়না তদন্তের জন্য বারাসত মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গিয়েছে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, কয়েকদিন আগেই এগুলি ওই পুকুরে ফেলা হয়েছিল। কারণ, দেহাংশে পচন ধরে ফুলে উঠেছিল। 

    হৃদয়পুর স্টেশনের অদূরে এক নম্বর বেঙ্গল কেমিক্যাল চত্বরের একটি পুকুর আছে। এলাকাটি যথেষ্ট ঘনবসতিপূর্ণ। গত কয়েকদিন ধরে পুকুরে কয়েকটি বস্তা ভাসতে দেখেছিলেন স্থানীয় মানুষজন। তখন তাঁরা ভেবেছিলেন, কেউ আবর্জনা ভর্তি বস্তা ফেলে গিয়েছে। তাই কেউ তেমন গুরুত্ব দেননি। এর মধ্যেই শনিবার রাতে পুকুর থেকে দেহাংশ সহ একটি বস্তা উদ্ধার করে পুলিস। তারপরও রবিবার সকালে ফের ওই পুকুরের দিক থেকে তীব্র দুর্গন্ধ ভেসে আসতে থাকে। বাসিন্দারাই তখন বারাসত থানায় খবর দেন। পুলিস গিয়ে আরও তিনটি বস্তা টেনে পাড়ে তোলে। বস্তার খুললে দেখা যায়, মানুষের শরীরের টুকরো করা অংশ রয়েছে। কোনওটায় পচাগলা হাত-পা।  কোনওটায় ধড়ের অংশ। তবে মুখ বা মাথার কোনও অংশ পাওয়া যায়নি। এই খবর চাউর হতেই স্থানীয় লোকজন পুকুরপাড়ে ভিড় জমান। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, অন্য কোথাও খুন করে দেহ খণ্ডবিখণ্ড করে পুকুরে ফেলা হয়েছে। 

    স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, সাহেব পালরা বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা এই এলাকায় আগে ঘটেনি। শনিবার গভীর রাতে এই পুকুরে একটা বস্তায় দেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার হয়। রবিবার সকালে আরও তিনটি বস্তায় মানুষের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এলাকায় কোনও সিসি ক্যামেরা নেই। সেই সুযোগই হয়তো নিয়েছে অপরাধীরা।’ বারাসত পুলিস জেলার এক কর্তা বলেন, ‘পুকুর থেকে তিনটি বস্তা উদ্ধার হয়েছে। একজন পুরুষের দেহ। তবে মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। দুষ্কৃতীরা অন্য কোথাও খুন করে দেহাংশ ওই পুকুরে ফেলে গিয়েছে। খুনের মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)