প্রাথমিক দুর্নীতির ইডি মামলায় চার্জ গঠনের কথা ছিল সোমবার। সব অভিযুক্তকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু, এ দিন সকালে ইডির বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়ার আগে হঠাৎই অসুস্থ বোধ করেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। জানা গিয়েছে, অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে তাঁকে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হতে পারে।
আদালতের নির্দেশ, সেক্ষেত্রে আলিপুরের ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আগামী ২ জানুয়ারি সুজয়কৃষ্ণের মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এর ফলে ইডি আদালতে স্থগিত হয়ে যায় চার্জ গঠন। বিচারক বলেন, ‘আমার চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। কিন্তু উপায় নেই। সবকিছু আমার নিয়ন্ত্রণে তো থাকে না।’ আদালতের নির্দেশ, আলিপুরের যে হাসপাতালে ‘কাকু’-কে ভর্তি করা হবে সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আগামী ২ জানুয়ারি সুজয়কৃষ্ণের মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’। কিছুদিন আগেই ইডি মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছিল আদালত। কিন্তু সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছিল। এই ‘শোন অ্যারেস্ট’ ঠেকানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ‘কাকু’। কিন্তু আদালত তাঁকে কোনও রক্ষা কবচ দেয়নি। এরপরেই সুজয়কৃষ্ণকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। সেই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সুজয়কৃষ্ণ ফিরে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। সোমবার ফের অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ইডি-র প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই মামলার চার্জ গঠন করতে হবে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। দ্রুত সব অভিযুক্তের হাজিরা নিশ্চিত করে চার্জ গঠন প্রক্রিয়া সারতে চায় বিশেষ ইডি আদালত।
শুক্রবার কলকাতায় বিচার ভবনে ইডির বিশেষ আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহা জানিয়েছিলেন, যদি ইডির মামলায় অভিযুক্ত ৫৪ জনই সোমবার আদালতে উপস্থিত থাকেন, তা হলে ওই দিনই চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু এ দিন সুজয়কৃষ্ণ অসুস্থ হওয়ার কারণে হলো না চার্জ গঠন।