এই সময়: কলকাতা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে সংস্কারের নামে একটি পুকুর বোজানোর অভিযোগ উঠল। কাশীপুরের সৎচাষী পাড়ার পুকুরটির নাম ‘রেলিং পুকুর’। যদিও সেই রেলিং–ও উধাও। পড়ে রয়েছে নামটাই।
১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার কার্তিক মান্না অবশ্য পুকুর বোজানোর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, পুকুরটির চারপাশে দীর্ঘদিন ধরে আবর্জনা জমে থাকায় মশা–মাছি থেকে ছুঁচো–ইঁদুরের উপদ্রব বাড়ছিল। এলাকাবাসীর একাংশ এ নিয়ে অভিযোগও জানান। সেই আর্বজনা সাফাইয়ের কাজ চলছিল। এতে বাধা দেওয়ার জন্যই কেউ বা কারা পুকুর বোজানোর অভিযোগ তুলছেন।
কার্তিকের কথায়, ‘আমি যতদিন কাউন্সিলার আছি, ততদিন এই ওয়ার্ডে একটি পুকুরও বোজাতে দেবো না। পুকুর থেকে আবর্জনা তোলা হচ্ছে। সেই জঞ্জাল ফেলা হবে ধাপায়।’ তাঁর দাবি, গত তিন–চার দিনে ২৭ লরি আবর্জনা তোলা হয়েছে। এই কাজ চলবে।
কাশীপুর অঞ্চলে কলকাতা পুরসভার চিহ্নিত জলাশয়গুলির অন্যতম হলো এই পুকুর। অভিযোগ, ধারাবাহিক ভাবে ওই পুকুর–সংলগ্ন এলাকায় আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। যার জেরে কমছে পুকুরের আয়তন। বছর দশেক আগেও তার যে মাপ ছিল, এখন তা আর নেই। আবর্জনা জমে পুকুরের একাংশ ফাঁকা জমিতে পরিণত হয়েছে।
গত পুর–নির্বাচনে ওই ওয়ার্ডে সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন পল্লব মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ‘পুরসভা বলছে যে পুকুরের সংস্কার হচ্ছে। তা হলে তো পুকুর থেকে আবর্জনা তুলে অন্য জায়গায় ফেলার কথা। কিন্তু সেটা করা হচ্ছে না। আগেও পুকুরটি বুজিয়ে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল, তা নিয়ে ঝামেলাও হয়।’
পুকুরটির পাশ দিয়ে একটি রাস্তা গিয়েছে কাশীপুরের ৪–বি বাস স্ট্যান্ডের দিকে। অন্য একটি রাস্তা কাশীনাথ দত্ত রোডে গিয়ে মিশেছে। সম্প্রতি পুকুরের অদূরে একটি বহুতলের নির্মাণ শুরু হয়েছে। কাউন্সিলার কার্তিকের বক্তব্য, ‘পুকুরের মালিকানা নিয়ে মামলা রয়েছে। অনেক শরিক ওই পুকুরের।’