বিজ্ঞানে ভর করে আধুনিক প্রক্রিয়ায় ফুল চাষ, পাঁশকুড়ার ফুলচাষীদের কায়দায় অভাবনীয় সাফল্য
আজকাল | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা থেকে বাঁচতে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে চাষের প্রক্রিয়ায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন পাঁশকুড়ার ফুল চাষিরা। রাতের অন্ধকারেও বিজ্ঞানের ওপর ভর করে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় ফুল চাষ নজরকাড়া সাফল্য এসেছে। বর্তমানে শীতের মরশুমে ফুলের চাষ মানেই মাথায় আসে চন্দ্রমল্লিকার কথা। শীতের মরশুমেও মাঝেমধ্যেই পরিবর্তন হয়ে থাকে আবহাওয়া। তার মধ্যেই মাঝে এই ভিন্ন পদ্ধতিতে ফুল চাষ করে সাফল্য এসেছে পাঁশকুড়ার ফুল চাষীদের। বিভিন্ন পদ্ধতিতে এই ফুল চাষ হয়ে থাকে। এই ফুল চাষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। বৈদ্যুতিক পদ্ধতির মাধ্যমে গাছের বৃদ্ধি হয়ে থাকে।
বিঘার পর বিঘা জমিতে ইলেকট্রিক বাল্ব জ্বেলে গাছের সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া করানো হয়। তার ফলেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এই চারা গাছ। সময় মত কলি আসে গাছের আর তারপরেই ফুল ফুটে বড় হয়। লাল নীল হলুদ রংবেরঙের ফুল বাজারজাত দ্রব্য। বিরাট জমি জুড়ে রাতের অন্ধকারে এই চাষের জমিতে যখন বাল্ব জ্বলে চাষের মেলার মতই দেখতে লাগে। বিভিন্ন জাতের চন্দ্রমল্লিকা ফুল চাষ হয়ে থাকে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার নস্করদিঘি, শাঁখটিকরি, জানাবাড় সহ বিভিন্ন এলাকায়। রাজ্য, দেশ ছাড়িয়ে বাইরেও রপ্তানি হয় এই ফুল। জানা গিয়েছে, এক একজন চাষী দু’বিঘা, তিন বিঘা করে চাষ করে থাকেন এই চন্দ্রমল্লিকা। বিঘা প্রতি চাষের পেছনে খরচ হয় প্রায় এক লক্ষ টাকা। শীতকালে এই নয়া উপায়ে চাষ শুরু করে বহু চাষীরাই লাভের মুখ দেখছেন বলে জানা গিয়েছে।