• মমতার নির্দেশে BSF-এর সঙ্গে যৌথ অভিযানে যায় না পুলিশ, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর
    আজ তক | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • কাশ্মীরের জঙ্গিকে বাংলার পুলিশই ধরিয়ে দিয়েছে,রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছিলেন রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার। সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে সেই রাজীব কুমারের দাবি নিয়েই প্রশ্ন তুললেন। রাজ্য পুলিশের শীর্ষ স্তরকে নিশানা করেন  শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য পুলিশের দক্ষতার কথা বলতে গিয়ে অতীতে বামপন্থী এবং ডানপন্থী চরমপন্থা মোকাবিলায় সাফল্যের দাবি করেছেন ডিজি রাজীব কুমার। সেই বক্তব্যকে কার্যত ‘চ্যালেঞ্জ’ করে কোন কোন সংগঠন ‘তথাকথিত ডানপন্থী চরমপন্থা’য় জড়িত, ডিজি-র কাছে তার নাম জানতে চেয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি সাংসদ। পাশাপাশি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের বিশাল অংশে কাঁটাতার না থাকার জন্য রাজ্য সরকারকেই নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
    সাংবাদি সম্মেলনের শুরুতেই শুভেন্দু বলেন, 'কাশ্মীর থেকে পুলিশ এসে ক্যানিংয়ে জঙ্গি ধরছে।' এরাজ্যে জমি অধিগ্রহণ আইন রয়েছে রাজ্যের হাতে। বিএসএফ কোনও জমি সরাসরি অধগ্রহণ করতে পারে না। জমি জটিলতার ক্ষেত্রে ডিএমরা রাজ্যের কথাতেই চলছে। রাজ্যের শতছিদ্র সীমান্ত দিয়ে লাগাতার অনুপ্রবেশ ঘটছে। জঙ্গি ঢুকছে। আর এই কাজে এজেন্সির ভূমিকা পালন করছে খোদ রাজ্য সরকার। বিএসএফ-এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই যৌথ অভিযানে রাজ্য পুলিশ যায় না। রাজ্যে ভোট জিহাদ চলছে বলে আক্রমণ করেন তিনি।  রাজ্য সরকার BSF-এর সঙ্গে অসহযোগিতা করছে, সবাই দেখছে, সাংবাদিক বৈঠকে জানান বিরোধী দলনেতা। 
    শুভেন্দু বলেন, "জমি অধিগ্রহণ আইন সম্পূর্ণরূপে রাজ্যের হাতে। ১৮৯৪ সালে ব্রিটিশের আইন। জমি অধিগ্রহণ করেন কালেক্টরেট। সেই আইন ভারতের স্বাধীনতার পরেও চলছে। পরিবর্তন করা হয়নি। মাঝখানে যে কৃষি বিল এসেছিল তিনটি, তাতে এই আইনের বদল ছিল। কিন্তু, যে কারণেই হোক ভারত সরকার এই বিল তিনটিকে বাতিল করে। তার ফলে জমি অধিগ্রহণ আইন ১৮৯৪ সাল অনুযায়ী এখন ডিএমদের হাতে থেকে যায়। তাই ভারত সরকার সরাসরি সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া বা এইমস তৈরি করার জমি, বিমানবন্দর-জাতীয় সড়কের বা রেললাইনের জমি...কোনও জমি সরাসরি অধিগ্রহণ করতে পারে না। জেলাশাসকের মাধ্যমে করতে হয়। এখানকার ডিএমরা যাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাক্স বদল করেন, যাঁরা লোকসভা নির্বাচনে তাঁবেদারি করেন, সেই ডিএমরা মুখ্যমন্ত্রীর ইশারা বা নির্দেশের বাইরে এক ছটাক জমিও অধিগ্রহণ করে দিতে পারবেন না, মুখ্যমন্ত্রী যদি না চান। এই মুখ্যমন্ত্রী যিনি ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর বিধানসভায় বিএসএফের বিরুদ্ধে রেজ্যুলিউশন আনেন, সেই মুখ্যমন্ত্রী বিএসএফকে কাঁটাতার দেওয়ার জন্য জমি দিতে পারেন না। এটা একেবারে অন রেকর্ড সত্যি। তাই পশ্চিমবঙ্গে শতচ্ছিদ্র সীমান্ত। আজ সেই সীমান্ত দিয়ে প্রত্যেকদিন এরা ঢুকেছে, ঢুকছে।ভবিষ্যতেও ঢুকবে। গোটা ভারতে জঙ্গি, জেহাদি, মৌলবাদী, রোহিঙ্গা মুসলমান সাপ্লাই করার জন্য করিডর হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। সাপ্লাই করার এজেন্সি নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার, তার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর লোকেরা রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দিচ্ছেন, আধার কার্ড বানিয়ে দিচ্ছেন। বাংলাদেশের জঙ্গি দু'বার তৃণমূলকে দুবার ভোটও দিয়ে গিয়েছেন। তার ভোটার কার্ডও তৈরি হয়ে গেছে। রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং বিএসএফের সঙ্গে অসহযোগিতা করছে।"
     রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী তোপ দাগেন, 'রাজ্যে ভোট জেহাদ চলছে। তার ফলে কাশ্মীরের পুলিশ আসছে, ক্যানিং থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। অসম পুলিশ আসছে মুর্শিদাবাদের মাদ্রাসা থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিচলিত, আতঙ্কিত।"
  • Link to this news (আজ তক)