বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: প্রায় দেড়মাস। সপরিবারে নিখোঁজ কাউন্সিলর! দল কেন পাশে নেই? ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য আখতার হোসেন। বললেন, ' ব্লক সভাপতি বা জেলার চেয়ারম্যান ওয়ার্ডের মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য় একদিন সময় বের করতে পারেননি'।
ঘটনাটি ঠিক কী? আসানসোল পুরনিগমের ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সেলিম আখতার। অভিযোগ, গত দেড় মাস ধরে সপরিবারে নিখোঁজ তিনি। স্রেফ তৃণমলের রাজ্য স্টিয়ারিং কমিটি সদস্যই নন, নিজেও একসময় কাউন্সির ছিলেন। সেই আখতার হোসেনের অভিযোগ, 'এতদিন হতে চলল ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিখোঁজ। অথচ দলের কুলটি ব্লক সভাপতি বা কুলটির দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় ওয়ার্ডের মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য় একদিন সময় করতে পারেননি'।
আখতার বলেন, 'কুলটিতে সংগঠন বলে কিছু নেই। এই কারণে বিগত দিনে ভোটগুলিতে হারের মুখ দেখতে হয়েছে দলকে'। সাংবাদিক সম্মেলন ছিলেন কুলটিতে তৃণমূল প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ও প্রাক্তন কাউন্সিলর বিমান আচার্য। তিনি বলেন, 'কুলটিতে বিজেপির সংগঠন না থাকলেও তৃণমূলের কারনেই জিতছে' ।
এদিকে দলেরই দুই নেতার বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আগের ভোটে যারা তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে বিজেপির হয়ে কাজ করেছিল তারা আবার সক্রিয় হচ্ছে । ওদের কোন গুরুত্ব নেই'। আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক দাবি, 'সেলিম আখতার সপরিবারে কোথায় গিয়েছে, সেবিষয়ে কোনও খবর নেই। তাঁকে মোবাইলেও পাওয়া যায়নি। তবে যে অভিযোগগুলি করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। ওই ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষদের যেন কোন অসুবিধা না হয় তা দেখার জন্য পার্শ্ববর্তী এলাকার কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র বিধান উপাধ্যায়। আমি নিজেও নজর রাখছি'।
চুপ করে থাকেনি বিজেপিও। দলের যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য অমিত গড়াইয়ের কটাক্ষ, 'মানুষের উচিত ভোট দেবার আগে প্রার্থী সম্পর্কে জেনে নেওয়া'।