কিরণ মান্না: গ্রীষ্ম ও বর্ষা কাটিয়ে শীতের মরশুম পড়েছে। আর শীতের মরশুমে শীতকালীন চাষ মানেই চন্দ্রমল্লিকা ফুল। আর শীতের মৌসুমে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনাতে চাষে কপালে ভাঁজ ফেলেছে চাষিদের। আর তারই মাঝে ছিন্ন পদ্ধতিতে ফুল চাষের সাফল্য পেয়েছে পাঁশকুড়ার ফুল চাষীরা।
এই ফুল চাষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে হয়। বৈদ্যুতিক পদ্ধতির মাধ্যমে গাছের গ্রোথ বাড়ানো হয়। বিঘার পর বিঘা জমিতে ইলেকট্রিক বাল্ব জ্বেলে গাছের সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া তৈরি করা হয়। আর তার ফলেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এই চারা গাছ, ফলে এক সময় ,সময় মত কলি আসে গাছের আর তারপরেই ফুল ফুটে বড় হয়। লাল নীল হলুদ রংবেরঙের ফুল বাজারজাত হচ্ছে। এটার বেশিরভাগই রাতে হচ্ছে। মাঠের পর মাঠ রাতের অন্ধকারে এই চাষের জমিতে যখন বাল্ব জ্বলে মনে হয় যেন এক চাষের মেলা।
বিভিন্ন জাতের চন্দ্রমল্লিকা ফুল চাষ হয় পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার নস্করদিঘী শাঁখটিকরি জানাবাড় সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। আর এই চাষের উপরেই জীবিকা নির্ভর করে থাকে চাষিরা। এই ফুল এই রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ দেশান্তরে পার্সেল এর মধ্য দিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে। এই সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দিব্যি সাফল্য এসেছে। চাষীদের উপার্জনও হচ্ছে।
একেকজন চাষী দু বিঘা তিন বিঘা করে চাষ করেন এই চন্দ্রমল্লিকা। বিঘা প্রতি চাষের পেছনে খরচ হয় প্রায় এক লাখ, তবে বহু চাষীরাই এখন লাভবান এই মল্লিকা চাষে।