জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বছরের প্রথম দিকে রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছিল সন্দেশখালির ঘটনা। সেখানে ইডি আধিকারিকদের উপরে হামলা ও পরে তৃণমূল নেতা শাহজাহান গ্রেফতার হন। তারপরেই উঠে আসতে থাকে সেখানকার তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর অভিযোগ। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা সন্দেশখালি। সেই সময় এলাকার মানুষজনের দাবি ছিল একবার অন্তত সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সেই সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়েই বিরোধীদের নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধন করলেন ১২৩ কোটি টাকার ৬৬টি প্রকল্পেরও।
সন্দেশখালিতে অভিযোগ উঠেছিল, এলাকার মহিলাদের যখন তখন তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডাকা হত। তাদের উপরে নির্যাতন চলাতে হত। সেই প্রসঙ্গ না টেনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মিথ্যে বেশিদিন চলে না। মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছে। টাকার অঙ্কে খেলা হয়েছে। সকলে মিলেমিশে থাকবেন। দুষ্টু লোকের খপ্পরে পড়বেন না। মহিলাদের বলছি কেউ ডাকলেই চলে যাবেন না। আমি চাই সন্দেশখালির ছেলেমেয়েরা এগিয়ে যাক।
সন্দেশখালিতে প্রায় এক ঘণ্টা বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা মানুষজনকে জানান। তিনি বলেন, কোনও কাজ থাকলে দুয়ারে সরকার আপনার দুয়ারে আসবে। আপনার কাজ করে দেবে। রাজ্যের যে কোনও জায়গায় কিছু ঘটলে সঙ্গে সঙ্গেই সেই খবর তাঁর কাছে চলে আসে। বিজেপির অনেক টাকা রয়েছে। সেই টাকায় হাত দেবেন না। সেই টাকা অন্যায়ের টাকা।
মুখ্যমন্ত্রী এদিনে ঘোষণা করেন, সন্দেশখালি গ্রামীণ হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৬০ করা হবে। জেলার মানুষকে আরও ভালো সরকারি পরিষেবা দেওয়ার জন্য উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন মহকুমা হবে। সন্দেশখালিতে সন্দেশ হাব করার ইচ্ছার কথাও বলেন তিনি। লক্ষ্মীর ভান্ডার যারা পেয়ে থাকেন তারা ষাট বছর পার হলেও তা পেয়ে যাবেন।