বেশ কয়েকটা দিন ধরে বন দপ্তরের কর্মীদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলেছে সে। ঝাড়খণ্ড সীমানা পেরিয়ে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার জঙ্গল চষে বেড়িয়েছে। অবশেষে রবিবার বিকাল ৪টে বেজে ৯ মিনিটে, বাঁকুড়ার গোসাইডির জঙ্গলে একাধিক ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করা গিয়েছে তাঁকে। ধরা পড়েছে বাঘিনি জ়িনাত।
তার পর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। এখন কেমন আছে জ়িনাত? সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে, সেই খবর দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বন দপ্তরের খাঁচায় বন্দি বাঘিনি জ়িনাতের একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে খাঁচার মধ্যে বহাল তবিয়তে বসে রয়েছে বাঘিনি। দেখে কে বলবে, বন দপ্তরের প্রায় ২০০ জনের দলকে গত কয়েকদিন ধরে নাকানি-চোবানি খাইয়েছে সে।
১৬ সেকেন্ডের ছোটো ভিডিয়ো ক্লিপটির সঙ্গে ক্যাপশনে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘বনবিভাগের পূর্ণ তত্ত্বাবধানে বাঘিনি জ়িনাত এখন ভালো আছে। আমাদের বন দপ্তর সর্বদা তার খেয়াল রাখছে।’ রবিবার জ়িনাত ধরা পড়ার পরপরই বন দপ্তরের প্রশংসা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওড়িশার সিমলিপালের জঙ্গল থেকে ঝাড়খণ্ড হয়ে পশ্চিমবঙ্গে পাড়ি দিয়েছিল জ়িনাত। তবে সিমলিপাল তার আসল ঘর নয়। জ়িনাত ও যমুনা নামের আরেকটি বাঘিনিকে মহারাষ্ট্রের আন্ধেরি-তাডোবার জঙ্গল থেকে বংশবৃদ্ধির জন্য উড়িয়ে আনা হয়েছিল সিমলিপালে। কয়েক দিন কোয়ারান্টিনে রাখার পর, ২৪ নভেম্বর তাদের সিমলিপাল টাইগার রিজ়ার্ভে ছাড়া হয়েছিল।
দিন দশেক পরই সেখান থেকে ঝাড়খণ্ডের দিকে যেতে শুরু করেছিল জ়িনাত। ২০ ডিসেম্বর সেই রাজ্যের চাকুলিয়া থেকে সে ঢুকে পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রামে। আপাতত তাকে রাখা হয়েছে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায়। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে তাকে ফের নিয়ে যাওয়া হবে সিমলিপালে।