• জামিন পেয়ে জেলায় ফেরার পর মুখোমুখি অনুব্রত-শতাব্দী, ‘চেয়ার’ নিয়ে দিনভর ফিসফাস!
    এই সময় | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • জামিন পেয়ে জেলায় ফেরার পর এই প্রথম অনুব্রতর মুখোমুখি শতাব্দী। বীরভূম জেলা কমিটির বৈঠকে কেষ্ট তাঁর পাশে থাকা ফাঁকা চেয়ার এগিয়ে দিতেই তাতে বসে শতাব্দী বললেন, ‘এই জন্য পলিটিশিয়ানদের চেয়ার ছাড়তে নেই’। এর পর থেকেই জোর আলোচনায় তাঁদের এই ‘চেয়ার–চর্চা’।

    লোকসভা নির্বাচনে বীরভূমে সবুজ আবির উড়তেই শতাব্দী রায় বলেছিলেন, ‘কেষ্টদার সঙ্গে দেখা করে আসব।’ অনুব্রত তখন সুদূর তিহাড়ে। জেলে গিয়ে তো দূর, জামিনে মুক্ত হয়ে অনুব্রত জেলায় ফেরার পরেও সেই সাক্ষাৎ হয়নি। অনুব্রতর প্রত্যাবর্তনের পরে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা। সেই ভিড়ে শতাব্দীকে দেখা যায়নি। বরং সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে, ‘দেখা হলে হবে’। অবশেষে রবিবার রাতে জেলা কমিটির বৈঠকে দেখা হলো, জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের। রাজনৈতিক কচকচানির বাইরে দু’জনকে দেখা গেল নিখাদ মজার ছলে কথা বলতে। তবে তার মাঝেই ছোট্ট করে হলো ‘চেয়ার–চর্চা’ও।

    কী এই চেয়ার–চর্চা?

    রবিবার শতাব্দী যখন বৈঠকে পৌঁছন সেই সময় বক্তব্য রাখছেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। অনুব্রতর ঠিক পাশেই বিকাশের চেয়ারটি তখন তাই ফাঁকা। শতাব্দীকে দেখে বিকাশ-শূন্য সেই চেয়ারই তাঁর দিকে এগিয়ে দেন কেষ্ট। সেই চেয়ারে বসে রসিকতার সুযোগ ছাড়েননি শতাব্দী। হালকা গলায় বলে ওঠেন, ‘এই জন্য পলিটিশিয়ানদের চেয়ার ছাড়তে নেই!’ তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে দিনভর চর্চা চলল জেলায়।

    পরে অভিনেত্রী সাংসদ বলেন, ‘আমি যখন মিটিংয়ে ঢুকলাম, তখন বিকাশদা বক্তব্য রাখছিলেন৷ কেষ্টদা নিজের পাশে থাকা বিকাশদার ওই চেয়ারই এগিয়ে দেন। ভাবলাম, মাইক ছেড়ে বিকাশদা দেখবেন, ওঁর চেয়ারেই আমি বসে পড়েছি। তাই মজা করে বলেছি কথাটা।’

    সাংসদকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অনুব্রতকে কেমন দেখলেন? তাঁর কেষ্টদা ‘শান্ত ও স্বমহিমায়’, দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন শতাব্দী। বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অবশ্য শতাব্দীর সঙ্গে সাক্ষাৎকার নিয়ে আলাদা করে কিছু বলেননি।

    তবে জেলা রাজনীতির অন্দরে ফিসফাস, ‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার।’

  • Link to this news (এই সময়)