রবিবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদে অভিযান চালাল রাজ্য ও অসম পুলিশের এসটিএফ, 'আটক' দুই সন্দেহভাজন...
আজকাল | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিম (এবিটি) সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পশ্চিমবঙ্গ এবং মুর্শিদাবাদ জেলার কিছু জায়গায় সন্ত্রাস সারানোর চেষ্টার অভিযোগে এবার রাজ্য পুলিশের এসটিএফ এবং আসাম পুলিশের এসটিএফ-এর যৌথ অভিযানে মুর্শিদাবাদের নওদা থানার দুর্লভপুর গ্রাম থেকে সাজিবুল শেখ নামে এক যুবককে গ্ৰেপ্তার করা হল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজিবুলের সঙ্গে এসটিএফ মুস্তাকিম মন্ডল নামে নওদা থানার ভোলা গ্রামের আরও এক যুবককে 'আটক' করেছে। দুই যুবককে নিয়ে ইতিমধ্যে এসটিএফ মুর্শিদাবাদ ছেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর অসম এবং রাজ্য পুলিশের এসটিএফ মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার বহড়ান এবং নিশ্চিন্তপুর এলাকায় অভিযান চালায়।
সেখান থেকে গ্রেপ্তার হয় মিনারুল শেখ এবং আব্বাস আলী নামে দুই যুবক । তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছে অসম পুলিশের এসটিএফ। অন্যদিকে, একই সময় দক্ষিণ ভারতের কেরালাতে অভিযান চালিয়ে মহম্মদ সাব শেখ নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে অসম পুলিশের এসটিএফ। ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে মুর্শিদাবাদের নওদা এবং হরিহরপাড়া এলাকায় আত্মীয়দের বাড়িতে দীর্ঘদিন থাকছিল সাব। সূত্রের খবর, অসম পুলিশের এসটিএফের হেফাজতে থাকাকালীন সাব একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইতিমধ্যে গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার গভীর রাতে রাজ্যের এবং অসম এসটিএফ যৌথভাবে নওদা থানা এলাকায় অভিযান চালায়। এবার তাদের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে সাবের পিসি তাঞ্জিরা বিবির ছেলে সাজিবুল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এসটিএফ বাহিনী সাজিবুলের এক বন্ধু মোস্তাকিন মন্ডলকে 'জিজ্ঞাসাবাদের' জন্য তাদের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছে। ভোলা গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাকিন কাঠমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করত। অন্যদিকে সাজিবুল মূলত রাজমিস্ত্রির কাজ করলেও অন্য কাজও করত বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, কেরল থেকে ধৃত এবিটি-র অন্যতম মাথা, সাব মুর্শিদাবাদ এবং রাজ্যের কয়েকটি প্রান্তে জঙ্গি সংগঠনের শাখা বিস্তার করার চেষ্টা করছিল। এই কাজে তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সহায়ক হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সাজিবুল একসময় সাবের সঙ্গে যৌথভাবে ছাগলের ফার্মও খুলেছিল।
ধৃত দুই যুবক, সাবের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে 'নির্দেশ' পেত এবং সেই অনুযায়ী তারা জঙ্গি সংগঠন বিস্তারের কাজ করছিল বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। ধৃত মোস্তাকিনের মা আফরোজা বিবি দাবি করেন,"আমার ছেলের সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগ নেই।গতকাল রাতে আমার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নাম করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারপর থেকে আর ছেলের সন্ধান পাইনি। পুলিশ আমাদের বাড়ি থেকে দুটো মোবাইল ফোন নিয়ে গিয়েছে।"