• জেলার প্যানেল থেকে নেতাদের প্রত্যাহারে 'ষড়যন্ত্রে'র তত্ত্ব সিপিএমের অন্দরে!
    ২৪ ঘন্টা | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • মৌমিতা চক্রবর্তী: রাজ্য কমিটির বৈঠকের প্রথম দিনই উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্মেলন এর বিতর্ক প্রসঙ্গ। সূত্রের খবর, জেলা সম্পাদক রতন বাগচী জানান, ১৮ জনের নাম প্রত্যাহার এর সিদ্ধান্ত পরিকল্পিত। একজোট হয়েই করা হয়েছে। এরপর দল যা সিদ্ধান্ত নেবেন মেনে নেবেন তিনি। নজিরবিহীন ঘটনার পিছনে 'ষড়যন্ত্র' তত্ত্ব! দলের অন্দরে উঠেছে প্রশ্ন।

    উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিতর্কিত নজিরবিহীন সম্মেলন এর সাক্ষী থাকল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা সিপিএম। নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার এর তালিকায় ১৬ থেকে হল ১৮ জন। যাদের মধ্যে আবার ১২ জনই দলের সর্বক্ষণ এর কর্মী। কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী, সুব্রত দাসগুপ্ত রামশঙ্কর হালদার, রাহুল বোস, চন্দনা ঘোষ দস্তিদার এর মত উল্লেখ যোগ্য নাম। একজন অল্প বয়সের 'হোল টাইমার' যুব নেতা কে জেলা কমিটি তে না নেওয়ার প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত সূত্রের খবর। তুঙ্গে তরজা। পরিস্থিতি এমন হয় যে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলতলি, মন্দিরবাজার, জয়নগর চত্বর থেকে কেউই প্রায় রইলেন না জেলা কমিটি তে।

    সম্মেলনের খসড়া নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। লেখা হয়েছে তরুণ কর্মীদের আনার কথা কিন্তু অনেক নেতাই সেক্ষেত্রে 'ইয়েস ম্যান' খোঁজেন। তরুণ কর্মীদের প্রশ্ন তুললে ভালো ভাবে নেন না। প্রশ্ন উঠেছে দল যেখানে তরুণ কর্মীরা চাইছে সেখানে তরুণ কর্মীকেই বাদ দেওয়া হল কেন? লেখা হয়েছে যাদের মানুষজন চেনেন না, পাড়ার লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা করেন না এমন কাউকে পার্টিতে অন্তর্ভুক্ত করে কী লাভ? 

    আমতলার সোনাঝুরিতে সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগণার ২৬তম জেলা সম্মেলন চলছে। জেলাস্তরে ভোটাভুটির ঘটনা তেমন নতুন বিষয় নয়। তেমনই শনিবার, সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন জেলা কমিটিতে পেশ হওয়া প্রস্তাবিত সদস্য প্যানেল থেকে এক তৃতীয়াংশ সদস্য তাঁদের নাম প্রত্যাহার করে নেন। এবং তার মধ্যেই রয়েছে রাজ্য কমিটির সদস্য-সহ আরও অনেকে, যা লাল শিবিরের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। কার্যত বলাই বাহুল্য সুজন চক্রবর্তীর লোকেরা দূরত্ব বজায় রাখলেন এবং দখল নিল শমীক লাহিড়ীর বাহিনী। 

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)