জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কোর্টে হাজিরার আগেই 'অজ্ঞান'! এসএসকেএম থেকে 'কালীঘাটের কাকু'কে এবার স্থানান্তরিত করা হল আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। স্থগিত হয়ে গেল ইডি-র নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় চার্জগঠন প্রক্রিয়া। বিচারক জানালেন, 'অভিযুক্তরা সশরীরের হাজির না হওয়া পর্যন্ত চার্জগঠন প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে'। পরবর্তী শুনানি ২ জানুয়ারি।
ঘটনাটি ঠিক কী? ইডির নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এখন চার্জগঠনের প্রক্রিয়া চলছে। আজ, সোমবারও মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু 'কালীঘাটের কাকু'র অসুস্থতার কারণে শেষপর্যন্ত আর শুনানি সম্ভব হল না। বিচারকের মন্তব্য, 'চেষ্টার ত্রুটি ছিল না, কিন্তু সবকিছু আমার নিয়ন্ত্রণ নেই'।
প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন 'কাকু'। আজ, সোমবার সকালে হঠাত্ জ্ঞান হারান তিনি। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। এরপর সন্ধ্যায় আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
এর আগে, আদালতের কাছে তাঁর মক্কেল পছন্দের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরের আর্জি জানান অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী। তিনি বলেন, 'আজকে আমার মক্কেল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র সকালবেলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে sskm-এ নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা হাইকোর্টকে জানালাম। হাইকোর্ট অনেক আগেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, বাইপাস সার্জারিটা যাতে বেসরকারি হাসপাতালে হয়।আমরা কোর্টকে বললাম, SSKM সঠিক চিকিত্সা হবে না। ওনাকে যদি বেসরকারি হাসপাতালে, যেখানে ওনার ওপেন হার্ট সার্জারিটা হয়েছিল, সেখানে স্থানান্তরিত করা হয়। তাহলে চিকিত্সার ব্যাপারটা ঠিক হবে'। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জগঠনের শুনানির জন্য আদালতে এসেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। পার্থ বলেন, 'শুভ নববর্ষে সকলে শুভেচ্ছা জানাই। বিশেষ করে বেহালা পশ্চিমের অধিবাসীকে শুভ নববর্ষের হার্দিক শুভেচ্ছা জানাই, এই দুঃসময়েও আমার পাশে থাকার জন্য'। অর্পিতার কথায়, 'আইনের উপর আস্থা আছে'।