নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: ইমারতি দ্রব্যের দাম বেঁধে দিয়ে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিল শান্তিপুর ব্লক প্রশাসন। উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করেছে আবাস যোজনার টাকা। আর তারপরেই রাতারাতি বেড়ে গিয়েছে ইমারতি দ্রব্যের দাম। বিশেষ করে কেউ আবাস যোজনার টাকায় বাড়ি করছে শুনলে তো অস্বাভাবিক দাম হাঁকছে বিল্ডার্সরা। এই অসাধু ব্যবসায়ীদের শায়েস্তা করতেই এহেন পদক্ষেপ ব্লক প্রশাসনের।
ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে উপভোক্তাদের একটা বড় অংশ আবাসের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা করে পেয়ে গিয়েছেন। ৪৫ দিনের মধ্যে এই টাকায় জানলা পর্যন্ত গাঁথতে হবে বলে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিচ্ছে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্তরা ইট, বালি, সিমেন্টের মত ইমারতী দ্রব্য কিনতে গিয়ে দেখছেন মালের দাম অস্বাভাবিক বেশি চাইছে ব্যবসায়ীরা। কিছুদিন আগেই রানাঘাট ২ ব্লকের সমস্ত নির্মাণ সামগ্রী বিক্রেতাদের অতিরিক্ত দাম নেওয়া নিয়ে সাবধান করে দেয় প্রশাসন। এবার সেই পথে হাঁটতে চলেছে শান্তিপুর ব্লক প্রশাসনও। তাদের পরিকল্পনা, সমস্ত বিল্ডার্সদের ডাকা হবে। ইট, বালি, সিমেন্টের যা ন্যায্যমূল্য, তাতেই বেঁধে দেওয়া হবে দাম। আবাস যোজনায় অর্থ প্রাপকদের যে ঠকানো যাবে না, তাও পরিষ্কার করে দেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার একাধিক পঞ্চায়েতের আবাসের সুবিধাপ্রাপ্তদের নিয়ে বৈঠক করেন বিডিও সন্দীপ ঘোষ। নির্মাণ সামগ্রীর কোনটার কত বর্তমান বাজার মূল্য, তা বলে দেওয়া হয় তাঁদের। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই যাতে জানলা পর্যন্ত গাঁথনি শেষ হয় তাও সাফ বলে দেওয়া হয়েছে। না হলে কোনওভাবেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢুকবে না।
শান্তিপুর ব্লকের বিডিও সন্দীপ ঘোষ বলেন, আমরা শুনেছি আবাসের আবেদনকারীরা ইমারতীর দ্রব্য কিনতে বিল্ডার্সের ব্যবসায়ীদের কাছে গেলে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে। আমরা দাম বেঁধে দেব। অতিরিক্ত দাম যাতে নিতে না পারে তাই জন্য আমরা আবেদনকারীদের যেমন আগে থেকেই দাম সম্পর্কে সচেতন করে দিচ্ছি, তেমনই ব্যবসায়ীদেরও ডেকে একই কথা বলে দেওয়া হবে। এর পর যদি কেউ অতিরিক্ত দাম নেয়, তাহলে আমাদের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে। আমরা সরাসরি সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। রাজ্য সরকার গরিব মানুষের মাথায় পাকা ছাদ দিতেই এত টাকা খরচ করছে।