• দিনের আলোতেই ধরলা থেকে বালি তুলে পাচার, হুঁশ নেই ভূমিদপ্তরের
    বর্তমান | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: মাথাভাঙা-১ ব্লকের কুর্শামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধরলা নদী থেকে দেদার বালি চুরি হলেও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। মহিষমুড়ি ও তেঁতুলের ছড়া গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে ধরলা। নদীতে রয়েছে বিএসএফের গড়া একটি সেতু। অভিযোগ, সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে দেদার বাকি চুরি চলছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর নামমাত্র মাঝেমধ্যে অভিযান চালালেও বন্ধ হয়নি বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। দিনের বেলাতেই বালি চুরি হচ্ছে। কিন্তু দেখার নেই কেউ। স্থানীয়রা জানান, এনিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলেই বালি মাফিয়াদের হুমকির মুখে পড়তে হয়। প্রশাসনও সবকিছু জানার পরও কোনও পদক্ষেপ নেয় না। যদিও ধারাবাহিক অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা। 

    প্রসঙ্গত, মাথাভাঙা মহকুমার একাধিক নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তোলার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা অভিযান চালানোর পর কয়েকদিন বন্ধ থাকে। আবারও সক্রিয়ে হয় বালি মাফিয়ারা। 

    সম্প্রতি রাতের বেলায়ও অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি আটক করেছিলেন ভূমিদপ্তরের আধিকারিকরা। তারপরও বালি চুরির কারবার বন্ধ হয়নি। 

    স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বর্মন বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে এখানে বালি খাদানের অনুমতি বাতিল হয়েছে। তারপর বেআইনিভাবে বালি তোলার একটি চক্র গড়ে উঠেছে। দিনের পর দিন অবৈধভাবে বালি তোলা হলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। অনেকবার আমি নিজে এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। সেতুর খুব কাছ থেকে বালি তোলার ফলে সেতুটির ক্ষতিরও আশঙ্কা রয়েছে। 

    এব্যাপারে মাথাভাঙা-১ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের রাজস্ব আধিকারিক সত্য দাস বলেন, ওই জায়গাটি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। নদীর একদিক শীতলকুচি এলাকায় পড়েছে, অপরদিকটি আমাদের এলাকা। আর এর সুযোগ নিয়ে বালি তুলছে বেশকিছু লোক। আমরা আগেও অভিযান চালিয়েছি। আবারও অভিযান চালানো হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)