কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত চাষির থেকে অন্তত ৩০ কুইন্টাল ধান কেনার নির্দেশ
বর্তমান | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত হলে সেই চাষির কাছ থেকে অন্তত ৩০ কুইন্টাল ধান কিনতেই হবে। চাষির জমির পরিমাণ যত কমই হোক না কেন, এই নিয়ম মানতে হবে বলে খাদ্যদপ্তর থেকে জেলার আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একজন চাষি সরকারের কাছে সর্বোচ্চ ৯০ কুইন্টাল ধান বেচতে পারেন। চলতি খরিফ মরশুমে এই নিয়ম চালু আছে। কিন্তু ধান কেনার সময় চাষির জমির পরিমাণ কত, সেটা দেখে নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে খাদ্যদপ্তরের। দালাল বা ফড়েরা যাতে চাষির নাম করে ন্যূনতম সংগ্রহ মূল্যে (এমএসপি) সরকারের কাছ ধান বিক্রির সুবিধা নিতে না পারে তার জন্যই এই সতর্কতা। কিন্তু বিভিন্ন জেলা থেকে খাদ্যদপ্তরের কাছে অভিযোগ আসছিল যে, এই নিয়মের সুযোগ নিয়ে ধানক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা অনেক চাষির কাছ থেকে কম পরিমাণে ধান কিনছিলেন। কয়েকদিন আগে খাদ্যদপ্তর ধানক্রয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করে। সেখানে কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্তরা চাইলে অন্তত ৩০ কুইন্টাল ধান সরকারের কাছে যাতে বেচতে পারেন, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়। বৈঠকের কার্যবিবরণীতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, স্থানীয় পর্যায়ে ধান কেনার পরিমাণ ঠিক করা যাবে না।
রাজ্য সরকারের কৃষকবন্ধু প্রকল্পে জমির মালিক চাষি ছাড়াও নথিভুক্ত কিংবা অনথিভুক্ত ভাগচাষিরা আছেন। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে বেশি পরিমাণে ধান কিনে তাঁদের বেশি আয়ের ব্যবস্থা করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। খুব কম পরিমাণ জমি চাষ করেন এমন চাষি যাতে অন্তত ৩০ কুইন্টাল ধান সরকারের কাছে বেচতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্যদপ্তর। কৃষকবন্ধু প্রকল্পে জমির মালিক চাষিদের জমির পরিমাণ সরকারের কাছে নথিভুক্ত থাকে। কিন্তু ভাগচাষিদের ক্ষেত্রে এটা নাও থাকতে পারে। খাদ্যদপ্তরের এই নির্দেশে ভাগচাষিদের বিশেষভাবে সুবিধা হবে।